সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যু গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি কয়েকদিনে। তার মধ্যে রয়েছে একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও-ও (Sandeshkhali Sting Operation)। এবার ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিও-র সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মামলা দায়ের করা হল সুপ্রিম কোর্টে। এফআইআর দায়েরেরও আর্জি জানানো হয়েছে।
বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের জন্য আবেদন
সুপ্রিম কোর্টে ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিও-র সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের নির্যাতন ও অশান্তি বাঁধানোর ছক কষা হচ্ছে, এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। যদিও সন্দেশখালির ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও স্টিং অপারেশন ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিজেপি-কে নিশানা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, সন্দেশখালিতে যা যা ঘটেছে, সব বিজেপি-র ষড়যন্ত্র। ভাইরাল ভিডিও-গুলিতে তার প্রমাণ মিলছে। ফলে লোকসভা ভোটের আবহে সন্দেশখালি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে।
সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিও ঘিরে বিতর্ক
সম্প্রতি সন্দেশখালির একটি স্টিং অপারেশন ভিডিও-তে দেখা যায়, এক ব্যক্তি (স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত) দাবি করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের ধর্ষণ অভিযোগ দায়ের করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে ওই ভিডিওতে এক মহিলার নাম করে বলতে শোনা যায়, তাঁকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে সাত-আট মাস আগে গণধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করতে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা-ই করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আপ্ত-সহায়কের (পীযূষ) নাম উল্লেখ করে গঙ্গাধরকে ওই ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, 'পীযূষ ন্যাজাটের শুভঙ্কর গিরিকে (বিজেপির সন্দেশখালি বিধানসভার আহ্বায়ক) বিভিন্ন নির্দেশ দিতেন। আর শুভঙ্কর আমাকে বলে দিত, আমি সেই মতো কাজ করতাম।' প্রশ্নোত্তর পর্বের ওই ভিডিয়োর একটি অংশে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, 'শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে সব হয়েছে। উনি আমাদের বলেন, এখানে তাবড় নেতাদের গ্রেফতার করাতে না পারলে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না। আর গ্রেফতার করাতে গেলে ধর্ষণের অভিযোগ করাতে হবে।'
দ্রুত শুনানির আর্জি সুপ্রিম কোর্টে
বিশিষ্ট আইনজীবী মানেকা গুরুস্বামী মঙ্গলবার বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। আদালত বলে, দ্রুত শুনানির আবেদন বিবেচনা করা হবে। আবেদনে বলা হয়েছে, 'ইউটিউবে একটি হাড় হিম করা ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যা প্রকাশ করেছে যে তথাকথিত মহিলা নির্যাতিতদের দ্বারা করা যৌন শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ইত্যাদির অভিযোগগুলি শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদের অপমান করার জন্য মিথ্যা ছিল যখন জনসাধারণের আস্থাকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার আবেদনে বলা হয়েছে।' আবেদনে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একজন নাগরিক হিসেবে, আবেদনকারী বুঝতে পেরেছেন, রাজ্যে বিরোধী দল এবং শাসকদের মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে, সন্দেশখালি রাজ্যকে খারাপ আলোয় বা তদ্বিপরীত করার সময় বিজেপির প্রচারের জন্য জেলাটিকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছে। তাই উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করার জন্য অবিলম্বে ভিডিওটির একটি স্বাধীন বিশ্লেষণ প্রয়োজন।'