রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। সন্দেশখালির ৫ মহিলা-সহ ১১ জন আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। সেন্টার ফর এসসি/এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ডাঃ পার্থ বিশ্বাস বলেছেন , 'সন্দেশখালির ইস্যু নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা আজ ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরো বিষয়টি অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছেন। সমস্তটা শুনে দুঃখিত বোধ করেছেন। মোট ১১ জন নির্যাতিত এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ।'
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি দ্বীপ। সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। হামলার হাত থেকে বাদ যাননি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরাও। হামলার ঘটনায় ৩ ইডি অফিসার আহত হন। পরবর্তীকালে শাহজাহানের বিরুদ্ধেই পথে নামেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপরে নির্যাতন, জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি, শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও আদালতের নির্দেশে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বৃহস্পতিবার শাজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং আত্মীয়দের বাড়িতে অভিযান চালায়, জমি দখলের মামলায় বেশ কয়েকটি নথি এবং ডায়েরি জব্দ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ধামখালিতে স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী এবং শেখের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় অন্তত সাত ঘণ্টা ধরে। এছাড়াও, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রামপুরে শাহজাহান শেখের আত্মীয়দের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এই তিন ব্যবসায়ী এবং আরও কয়েকজন চিংড়ি চাষ ও ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসার আড়ালে তাঁরা শেখকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারে সহায়তা করছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অভিযোগ করেছে যে শাহজাহান শেখ তাঁর আত্মীয় এবং বন্ধুদের ব্যবহার করেছেন দুর্নীতির টাকা পাচারে। ইডি শাহজাহানের মালিকানাধীন গাড়ি বাজেয়াপ্তও করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সিবিআইয়ের তলবে হাজির হলেন না শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। বৃহস্পতিবার তাঁকে সিবিআই অফিসারদের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল।