দু'দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে তিনি এখানে আসছেন। বিদেশ মন্ত্রকের (এমইএ) জারি করা বিবৃতি অনুসারে, হাসিনা তাঁর সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করবেন। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক বসতে পারেন হাসিনা।
কিছুদিন আগেই নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন হাসিনা। মোদী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে হাসিনাই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হবেন। এই বছরের জানুয়ারিতে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসার পর হাসিনার এটাই প্রথম বিদেশ সফরও হবে।
মোদীর সঙ্গে হাসিনার মধ্যে আলোচনার জন্য যে বিষয়গুলি আসতে পারে তার মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত, তিস্তা জল চুক্তি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি নবায়ন, গম ও পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ এবং মংলা বন্দরের পরিচালনা। চিন ইতিমধ্যেই তিস্তা নদীর উন্নয়নে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং এটি একটি সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ভারত এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের সঙ্গেই সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে মোদী ও হাসিনার মধ্যে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নতুন দিল্লিতে নামার পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করবেন হাসিনা। ২২ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে একটি আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানানো হবে, যেখানে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদী অভ্যর্থনা জানাবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে দুই নেতার প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০টির বেশি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষর হতে পারে। জুলাই মাসে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে চিনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।