Uttarakhand Haldwani Violence: অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে। বৃহস্পতিবার অশান্তির আঁচ আরও বাড়তে থাকে। বুলডোজার অভিযানে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ প্রশাসনকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। অনেক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেক মহিলা পুলিশ সদস্য রয়েছেন যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের থামাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অশান্তি সৃষ্টি করা মানুষদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ হাওয়ায় গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। হলদওয়ানিতে অশান্তির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলদওয়ানির বনভুলপুরায় গুলি করার নির্দেশ জারি করেন এবং কারফিউও জারি করা হয়। এর পাশাপাশি তিনি এ-ও ঘোষণা করেন, শুক্রবার হলদওয়ানিতে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি। বৈঠকে মুখ্যসচিব ও পুলিশের আধিকারিকরা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার হলদওয়ানির পৌর কর্পোরেশনের আধিকারিকরা বনভুলপুরা থানার কাছে একটি বেআইনিভাবে নির্মিত মাদ্রাসা ভেঙে ফেলেন, এর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। পাল্টা জবাবে, আশেপাশে বসবাসকারী একদল ব্যক্তি পুলিশ অফিসারদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে, যার ফলে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটার দিকে এসডিএম ও পৌর কর্পোরেশন কর্মকর্তাসহ পুলিশের দল অবৈধ মাদ্রাসাগুলি উচ্ছেদ করতে যায়। পুলিশ উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, কিন্তু এর ফলে বিশাল জনতা আক্রমণাত্মক পাথর ছোড়ে। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এরপর পরিস্থিতি আরও জলঘোলা হয়। ওই এলাকায় পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উপরন্তু, একটি ট্রান্সফরমারে আগুন দেওয়া হয়, যার ফলে আশেপাশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। নভূলপুরা থানা ঘেরাও করায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও প্রশাসনের আধিকারিক থানার ভিতরে আটকে পড়েন। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, হলদওয়ানিতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ডাকা হয়।
কারফিউ চলছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, কেবলমাত্র চিকিৎসা জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রেই বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
নৈনিতালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন যে ভিডিও রেকর্ডিং সহ বিভিন্ন প্রমাণের মাধ্যমে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে।