ভারী বৃষ্টিপাত এবং খারাপ আবহাওয়ার জেরে শুক্রবার ভয়াবহ ধস নামে সিকিমে। ভূমিধসের কারণে আটকে পড়েন স্থানীয় পর্যটকরা। আটকে থাকা ৩০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। তাঁদের খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট মহেন্দ্র রাওয়াত।
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মহেন্দ্র রাওয়াত জানান,'পর্যটকদের উদ্ধার করে খাবার ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।'
ভারী বৃষ্টিতে সিকিমের চুংথাংয়ের কাছে রাস্তা ভেসে যায়। এর ফলে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েন ৩ হাজারের বেশি পর্যটক। পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয় সেনা। রাতভর রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলে। শনিবার বিকেলে ২০০০ পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রিশক্তি কর্পস, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থার কর্মীরা পর্যটকদের উদ্ধার করে। রাতভর ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্রসিং তৈরির কাজ করে। পর্যটকদের নদী পার করানো হয়। দেওয়া হয় গরম খাবার। প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।
সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত। তাঁদের দাবি, সিংতুম, ডিকচু, রাংরান, মাঙ্গান এবং চুংথাংকে সংযোগকারী রাস্তাটি ভূমিধসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাকডং-টিনটেক রুট হয়ে ডিকচু থেকে গ্যাংটক রুট শুধুমাত্র হালকা যানবাহনের জন্য খোলা রয়েছে। তিনি জানান, সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলছে। এর আগে ২০ মে উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হয়েছিল। ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে ১১৩ জন নারী ও ৫৪ জন শিশুও রয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, ভারী বৃষ্টির পরে ভূমিধস এবং রাস্তাগুলি ব্যাহত হয়েছিল। ৫০০ পর্যটক লাচুং এবং লাচেন উপত্যকায় আটকে পড়েছিলেন।