scorecardresearch
 

Sikkim Flash Flood: তিস্তায় তলিয়ে গিয়েছে রেলপথ তৈরির সামগ্রী, ২০২৪-এর সিকিমের রেল যোগাযোগ বিশবাঁও জলে

Sikkim Flash Flood: ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তার পারে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ, সেনাবাহিনীর শিবির সহ একাধিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। সেতু, বাঁধ ভেঙে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারও হেলিকপ্টারে এই উদ্ধার কাজ চলবে। তবে এরই মধ্য়ে নতুন করে সমস্য়া দেখা দিয়েছে।

Advertisement
তিস্তাতলিয়ে গিয়েছে রেলপথ তৈরির সামগ্রী, ২০২৪-এর সিকিমের রেল যোগাযোগ বিশবাঁও জলে তিস্তাতলিয়ে গিয়েছে রেলপথ তৈরির সামগ্রী, ২০২৪-এর সিকিমের রেল যোগাযোগ বিশবাঁও জলে
হাইলাইটস
  • তিস্তায় তলিয়ে গিয়েছে রেলপথ তৈরির সামগ্রী
  • , ২০২৪-এর সিকিমের রেল যোগাযোগ বিশবাঁও জলে

Sikkim Flash Flood: গত বুধবার ৪ অক্টোবর মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় থাকা লোনক হ্রদ ভেঙে গিয়ে আচমকা তিস্তায় হড়পা বান চলে আসায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। নদীতে জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সিকিমের মঙ্গন জেলার লোনক লেকের বাঁধ ভেঙে যায়, সেই জলের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে মঙ্গন, গ্যাংটক, পাকিয়ং এবং নামচি জেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়।

ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তার পারে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ, সেনাবাহিনীর শিবির সহ একাধিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। সেতু, বাঁধ ভেঙে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারও হেলিকপ্টারে এই উদ্ধার কাজ চলবে। তবে এরই মধ্য়ে নতুন করে সমস্য়া দেখা দিয়েছে।

তিস্তার ভয়াবহ গতিতে বিপর্যস্ত রেলপথ তৈরির সামগ্রী

আরও পড়ুন

তিস্তার ভয়াবহ গতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিম রংপো রেল প্রকল্পের বরাত পাওয়া ঠিকাদারি সংস্থার অধীন থাকা একটি বেসিন প্ল্যান্টের। এই হড়পা বানে ওই সংস্থার স্টোর রুম, গাড়ি-সহ সমস্ত জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে সংস্থার প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল প্রকল্পের নির্মাণের কাজে এই সংস্থাটি কাজ করছে। তবে সংস্থার প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা এখন অত্যন্ত কঠিন। 

সংস্থার ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোম্পানির ডাম্পার পুরো বেসিন প্ল্যান্ট-সহ সমস্ত কিছুই জলে ভেসে গিয়েছে। ৪ অক্টোবর রাতে যখন প্রশাসনের তরফে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল তখন তাঁরী  কর্মীদের ঘর থেকে রাস্তায় বের করে আনেন। ফলে কেউ হতাহত হনন। তবে গোটা প্ল্যান্ট তিস্তায় ভেসে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ অঞ্চলে রেল প্রকল্পের কাজ এখানে হচ্ছিল। আপাতত কোনও সামগ্রী বেঁচে নেই। আপাতত জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে।

Advertisement

অন্য়দিকে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং বা গ্যাংটক থেকে কালিগঞ্জের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। কারণ মাঝখানে তিস্তা বাজারের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা একেবারে ধুয়ে-মুছে সাফ। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা মেরামতির কাজ করে কালিম্পং এর সঙ্গে পশ্চিম এবং দক্ষিণ সিকিমের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।

Advertisement