একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দায়। যা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সামারা গ্রামে বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যুর পর পুরো পরিবার তখন শোকগ্রস্ত ছিল এবং ছেলেটি মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেয়। তখনই ছেলেটিরও মৃত্যু হয়।
মায়ের শেষকৃত্যে ছেলের মৃত্যু
মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই ছেলের বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনিও মারা যান। এই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। কোনোভাবে মাকে দাহ করা হয় এবং পুলিশ মৃত ছেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এখন গ্রামের মানুষ কেউ বলছেন, মা-ছেলের ভালোবাসার কারণেই তিনি মারা গিয়েছেন, কেউ বলছেন হার্ট অ্যাটাক আবার কেউ বলছেন তাঁকে বিষাক্ত পোকা কামড়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে অপেক্ষা করছে পুলিশ।
বিষয়টি দেহাত কোতোয়ালি থানা এলাকার, যেখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেমরা গ্রামের বাসিন্দা পুনিয়া দেবীর শেষকৃত্য করতে পরের দিন শ্মশানে পৌঁছেছিলেন, যেখানে পাঁচ ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রতুলাল মারা যান।
মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি
এ সময় হঠাৎ তার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করায় পরিবারের লোকজন তাকে শেষকৃত্য বন্ধ করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চেকআপের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রকাশ করলেও পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এখনও আসেনি।
ছেলের মৃত্যুর পর পরিবার থমথমে। এরপর বড় ছেলে মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আগুন দেয়। তিন্দওয়ারি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অমর সিং জানান, যুবককে তার পরিবারের সদস্যরা এখানে নিয়ে এসেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি আগেই মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।