চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে বিশেষ জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, চিন-ভারতের স্থিতিশীল সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের জন্যও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিউজউইক-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিলেন, সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিনের বিতর্কের দ্রুত সমাধানে।
ভারতের জন্য চিনের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যপূর্ণ
মোদীর কথায়, 'ভারতের জন্য চিনের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যপূর্ণ। আমার বিশ্বাস, সীমান্ত নিয়ে দু দেশের যে দীর্ঘদিনের বিবাদ, তার দ্রুত সমাধান সূত্র বের করা, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খারাপ দিকটা আমরা পিছনে ফেলে সরিয়ে রাখতে পারি।'
দুদেশের সম্পর্কে অনেকটা ফাটল দেখা দেয়
বস্তুত, ভারত ও চিনের সীমান্ত বিবাদ নতুন নয়। ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিন সেনার যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, তারপর থেকে দুদেশের সম্পর্কে অনেকটা ফাটল দেখা দেয়। কূটনৈতিক স্তরে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শান্তি বজায় রাখা হবে। এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'আমার আশা এবং বিশ্বাস, কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমাদের সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে।'
অরুণাচলপ্রদেশ নিয়ে কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী
একদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অন্যদিকে অরুণাচল সীমান্ত সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। লোকসভা ভোটের আগেই অরুণাচল নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছে চিন। অরুণাচলের বেশিরভাগ এলাকাকেই নিজেদের বলে দাবি করছে চিনা সরকার। তাদের সরকারি অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নামকরণ করেছে চিন। যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরুণাচলের অশান্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।