বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Mosque Demolition) ৩০ বছর পূর্তিতে মথুরার (Mathura) শাহী ইদগাহ মসজিদে হনুমান চালিসা পাঠ এবং গোপালের মূর্তি স্থাপনের দাবি তোলে হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha)। হিন্দু মহাসভার এই ঘোষণার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আগ্রা ও মথুরার প্রশাসন। মথুরায়, শাহী ইদগাহ মসজিদের আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও এক তীর্থযাত্রী মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রকৃতপক্ষে, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা যুব-র রাজ্য সভাপতি ব্রিজেশ ভাদৌরিয়া এই ঘোষণা করেছিলেন। ৬ ডিসেম্বর মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির কাছে নির্মিত শাহি জামা মসজিদে রুদ্রাভিষেক করার এবং গোপালের মূর্তি স্থাপন করার দাবিও তোলেন। পুলিশ প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেখানেই আত্মহত্যা করার হুমকিও দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ব্রিজেশ ভাদোরিয়াকে দেখা গেছে, সরযূ, কাশী এবং সঙ্গম থেকে অযোধ্যায় নদীর জল নিয়ে আসতে। আজই শাহি মসজিদ মথুরায় পৌঁছতে পারেন তাঁরা।
হিন্দু মহাসভার কোষাধ্যক্ষের দাবি পরিকল্পনা মতোই এগোবে হিন্দু মহাসভা
সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতোই এগোবে হিন্দু মহাসভা। তিনি বলেন, প্রশাসন এগিয়ে যেতে না দিলে যেখানে বাধা দেওয়া হবে সেখানে হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে, নাহলে আত্মহত্যা করার দাবি তোলেন।
কড়া প্রহরায় পুলিশ পুলিশ
হিন্দু সংগঠনগুলির এই ঘোষণার পর পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোনও নতুন ঐতিহ্য বা পূজা পাঠের অনুমতি দেওয়া হবে না। এলাকায় প্রায় দেড় হাজার পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ও শাহি মসজিদ ইদগাহের কাছে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু স্কুল বাস ও অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এসএসপি শৈলেশ পান্ডে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, নতুন কোনও ধর্মীয় প্রথা চলতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসরণ করা হব। ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কাউকে ছাড়া হবে না। মথুরার শান্তি নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিরাপত্তা চাদরে মুড়েছে মথুরা
এসএসপি শৈলেশ পান্ডে আরও জানিয়েছেন, মথুরায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সুপার জোন, জোন ও সেক্টর তৈরি করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি কোণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারি করছেন। এমন কোনও ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না, যার অনুমতি নেই। জেলার আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন বদ্ধপরিকর।