সন্দেশখালি নিয়ে JNU-তে সুকান্ত-শুভেন্দু। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁরা সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বক্তব্য রাখেন। সাধারণত JNU বাম ছাত্র রাজনীতির ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেখানে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের এভাবে পড়ুয়াদের সামনে কোনও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, কার্যত নজিরবিহীন।
শনিবার দুপুরেই দিল্লি পৌঁছান সুকান্ত ও শুভেন্দু। সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন ABVP জেএনইউ-তে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। তবে আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে খবর, সেই সংগঠনের নামে সম্মেলন হয়নি।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিপ্রা হস্টেলের হলঘরে সন্দেশখালি নিয়ে বক্তব্য রাখেন তাঁরা। সন্দেশখালির পরিস্থিতি ঠিক কেমন, কেন এটি তাৎপর্যপূর্ণ তাই নিয়ে পড়ুয়াদের জানান সুকান্ত। সন্দেশখালিতে ঠিক কী ঘটেছে, সেটাও JNU-এর পড়ুয়াদের সামনে তুলে ধরেন রাজ্য বিজেপির দুই অন্যতম প্রধান মুখ। পড়ুয়াদের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন তাঁরা।
#WATCH | Delhi: West Bengal LoP and BJP MLA Suvendu Adhikari says, "...Stop calling Mamata Banerjee called 'Didi' she has now become a 'aunty' now...I defeated her in Nandigram during the assembly elections. She lodged 42 cases against me. She a cruel lady..." (24.02) pic.twitter.com/HMJZshfa7K
আরও পড়ুন
— ANI (@ANI) February 25, 2024
সুকান্ত এদিন সিপিএম সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের সরকারের তুলনায় করেন। তিনি দাবি করেন, 'বাম জমানার মতোই অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। মমতা সরকারের কোনও মমতা নেই মানুষের প্রতি।'
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের আগে এই ইস্যুকেই কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটে জোর বাড়াতে চাইছে রাজ্যের পদ্মশিবির। সন্দেশখালিতে বারবার প্রবেশের চেষ্টা করতে ছুটে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার বাধার পর শেষমেশ সন্দেশখালি প্রবেশ করেন। সেখানে তাঁকে ঘিরে তুমুল জনজোয়ার দেখা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার সেখানে যেতে গিয়ে গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার। তারপর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হন।
সন্দেশখালি ইস্যুকেই লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা কেন। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তোলেন তিনি।