মেয়েদের পিরিয়ডের সময় তাঁদের যেন কর্মক্ষেত্রে ছুটি দেওয়া হয় (Menstrual Leave), এই মর্মে একটি নীতি তৈরি করতে হবে কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। এই মর্মে PIL নিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রককে এই বিষয়ে আদর্শ নীতি চূড়ান্ত করার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডার ও রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট এই PIL গ্রহণ করেনি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বা আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়ই নয়। এমন বিষয়ে নীতি-নির্ধারণ সরকারের করা দরকার। পিরিয়ডের সময় ছুটি দিলে আরও বেশি মহিলা অফিসে কাজের প্রতি আকৃষ্ট হবেন বা ছুটি দিলে যদি তারা কাজের থেকে দূরে চলে যান, এই সবটাই সরকারের নীতিগত দিক। আদালতের নজরদারির অংশ এটা হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ নিতে চাই না, যাতে তাদেরই ক্ষতি হয়।'
প্রধান বিচারপতি আরও জানান, আবেদনকারীর তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে সালের মে মাসে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত একটা আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে মহিলাদের পিরিয়ডের সময় ছুটি সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ নিলে রাজ্যর নীতি আঘাত পেতে পারে। কারণ, এক একটি রাজ্যের এক এক রকম নীতি। তাদের কর্মসংস্কৃতিও আলাদা। সেই কারণে কোর্ট এতে হস্তক্ষেপ করবে না।
এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান, আবেদনকারীকে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব এবং এএসজি ঐশ্বরিয়া ভাটির সামনে তাঁর মতামত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। বিষয়টি নীতিগত পর্যায়ে খতিয়ে দেখে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য় একটি সাধারণ নিয়মও তৈরি করা যায় কি না সেটাও বিবেচনার অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, PIL-এ দাবি করা হয়েছিল, পিরিয়ড চলাকালীন মহিলাদের ছুটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইন, ১৯৬১ এর ১৪ নম্বর ধারা কার্যকর করতে হবে। আবেদনে ছাত্রী ও কর্মজীবী মহিলাদের পিরিয়ডের জন্য দাবি জানানো হয়। বিহারের প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয় এক্ষেত্রে। জানানো হয়, মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইনের বিধানগুলি বাস্তবায়নের জন্য পরিদর্শক নিয়োগও নিশ্চিত করা উচিত। বর্তমানে, বিহার একমাত্র রাজ্য যা ১৯৯২ নীতির অধীনে পিয়িয়ডের সময় ছুটি দিয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের অন্য রাজ্যেও এই নিয়ম কার্যকরা করা দরকার।