বিলকিস বানোর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পুনর্বিবেচনার আর্জিতে। ১৯৯২ সালের জেল নিয়মের অধীনে ১১ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গুজরাট সরকারকে। বিলকিস বানোর রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ হওয়ার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন টুইট করেছেন,'বিলকিস বানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানোকে ২১ বছর বয়সে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁর ৩ বছরের ছেলে এবং পরিবারের ৬ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু গুজরাট সরকার ধর্ষকদের ছেড়ে দিয়েছে। যদি সুপ্রিম কোর্ট থেকেও সুবিচার পাওয়া যায় না,তাহলে তাঁরা যাবেন কোথায়?'
প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাসে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এক দোষীর আবেদনে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৯৯২ সালের জেল আইনের আওতায় দোষীদের মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে গুজরাত সরকার। সেই মতো সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।বিলকিস বানো আবেদন করেন,এই মামলার শুনানি চলেছে মহারাষ্ট্রে। ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সেখানকার সরকারের নীতি হল, ২৮ বছর জেল খাটার আগে মুক্তি দেওয়া যায় না।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল, যে রাজ্যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেখানকার সরকারই মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে। বিলকিস বানোর ঘটনাটি গুজরাতে হওয়ায় এই মামলার দোষীদের সাজা কমানোর জন্য গুজরাত সরকারের কাছে আবেদন করতে হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের পরেই বিলকিস বানো মামলার আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
চলতি বছর ১৫ অগাস্ট,২০২২ সালের গুজরাত হিংসার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১জনকে ক্ষমা করে মুক্তি দিয়েছে সরকার। কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজ তার প্রতিবাদ জানায়। গুজরাত সরকারের নিন্দা করা হয়।
কেন আসামিদের মুক্তি?
এই নিয়মে একজন দোষীর শাস্তির মেয়াদ হ্রাস করা যায়। শাস্তির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যায় না, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় পর মেয়াদ কমানো যেতে পারে। সাজাকালে দোষীর ব্যবহারে পরিবর্তন না এলে শাস্তি কমানো হয় না।
আরও পড়ুন- মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য পাক বিদেশমন্ত্রীর, 'অভদ্র' বলল ভারত