বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণকে ব্যক্তিগত ভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলায় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল না করার জন্যই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সমালোচনা করে এবং কোম্পানিকে রোগের চিকিৎসা হিসেবে পণ্যের প্রচার থেকে বিরত রাখে। আদালত পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এবং এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকে নোটিশ জারি করে ও তাঁদের আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সম্ভাব্য অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা আবেদনের শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারপতি হিমা কোহলি ও আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ এবং বাবা রামদেবকে নোটিশ পাঠায়। তাতে দুজনকেই জিজ্ঞাসা করা হয় কেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় আদালত বাবা রামদেবের আইনজীবী মুকুল রোহাতগিকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এখনও জবাব জমা দেননি কেন? এখন আমরা আপনার মক্কেলকে আদালতে হাজির হতে বলব। এখন আমরা বাবা রামদেবকেও পার্টি করব। দুজনকেই আদালতে হাজির হতে বলা হবে।
আদালত বলেছে, আমরা মামলার শুনানি স্থগিত করব না। এই জিনিসটি একেবারে পরিষ্কার। বেঞ্চ আরও মন্তব্য করেছে যে রামদেব এবং পতঞ্জলির চেয়ারম্যান আচার্য বালকৃষ্ণ ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিস (আপত্তিকর বিজ্ঞাপন) আইনের ধারা ৩ এবং ৪ লঙ্ঘন করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আদালতে হাজির হতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রামদেবকে নোটিশ জারি করেছে আদালত।
আদালত কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রককেও তিরস্কার করেছে। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল যে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলি আদালতকে ব্যাখ্যা করতে। কেন্দ্র আদালতকে বলেছে যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন।