খালি 'নিঃশর্ত ক্ষমা' চাইলেই হবে না। পতঞ্জলি, বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের 'ক্ষমা' গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের মামলা রয়েছে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্ট 'আদালত অবমাননার কার্যক্রমকে হালকাভাবে নেওয়ার' জন্য হালকা ধমক দেয়। আদালত জানায়, 'আমরা আপনার হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করছি। আপনারা যা করেছেন সেটা আমরা ইচ্ছাকৃত... ইচ্ছাকৃতভাবে, আমাদের আদেশের বারবার লঙ্ঘন বলে মনে করি।'
বেঞ্চ জানায়, পতঞ্জলি ও বাবা রামদেবের কোনও ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করা হবে না। শুধু তাই নয়, এই ক্ষমাপ্রাথনা আদৌ আন্তরিক কিনা, তাই নিয়ে পাল্টা সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, 'এটা(ক্ষমা প্রার্থনা) কি আন্তরিক? তিনি এটা ৩ বার করেছেন।
এর উত্তরে পতঞ্জলির পক্ষে আইনজীবী রোহাতগী বলেন, 'আর কী বলার আছে? আমরা সেটাই বলব। মানুষ জীবনে ভুল করে!'
এর উত্তরে বেঞ্চ পাল্টা প্রশ্ন তোলে, 'আমাদের আদেশের পরও? এখন আমরা এত উদার হতে পারছি না।'
‘বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন’-এর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে বেশ চাপে পড়েছে পতঞ্জলি। যোগগুরু বাবা রামদেব এবং তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণকে রীতিমতো আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও ওঠে রামদেবদের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন বাবা রামদেব।