হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? সোমবার তার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
- ৫ আগস্ট, ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির এই আদেশ আইনগত এবং সাংবিধানিকভাবে বৈধ ছিল কিনা, সেই বিতর্কের জবাব মিলতে পারে আজই।
- প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্তের সমন্বয়ে গঠিত ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? সোমবার তার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ৫ আগস্ট, ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির এই আদেশ আইনগত এবং সাংবিধানিকভাবে বৈধ ছিল কিনা, সেই বিতর্কের জবাব মিলতে পারে আজই।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্তের সমন্বয়ে গঠিত ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবেন। কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এমন একাধিক পিটিশনের উপর সিদ্ধান্ত নেবে বেঞ্চ।
১৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে শুনানি হয়। চলতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর শেষ শুনানিতে আদালত এই বিষয়ে বিবেচনা করতে তিন মাসেরও বেশি সময় নেয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন
সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের আইন ও রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলা যেতে পারে।
পিটিশনকারীদের যুক্তি
- 'অনুচ্ছেদ ৩৭০ একটি অস্থায়ী বিধান ছিল যা পরে স্থায়ী হয়ে ওঠে': আবেদনকারীরা যুক্তি দেন, ১৯৫৭ সালে গণপরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ স্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। অনুচ্ছেদে যেকোনও পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এটি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
- 'কেন্দ্র গণপরিষদের ভূমিকা পালন করেছে এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে': বলা হচ্ছে ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্য কেন্দ্র নিজেই গণপরিষদের ভূমিকা নিয়ে নিয়েছে। সেটি ঠিক হয়নি।
- 'রাজ্য সরকারের সম্মতি নেই': রাষ্ট্রপতি শাসনের সময় রাজ্য সরকারের সম্মতি ছিল না বলে দাবি করেছেন আবেদনকারীরা।
- 'রাজ্যপালের ভূমিকা': মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শ ছাড়াই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ায় রাজ্যপালের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
- 'অসাংবিধানিক পদ্ধতি': আবেদনকারীদের দাবি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি সাংবিধানিকভাবে ভুল।
কেন্দ্রের যুক্তি
- 'কোনও আইন লঙ্ঘন করা হয়নি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে': কেন্দ্রের দাবি, সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল।
- 'কোনও অসাংবিধানিক কাজ করা হয়নি': সরকার বাতিলের প্রক্রিয়ায় কোনও 'অসাংবিধানিক কাজে'র অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
- 'রাষ্ট্রপতির সংবিধানের অধীনে ক্ষমতা রয়েছে': কেন্দ্রের যুক্তি, রাষ্ট্রপতি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্মতিক্রমে, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা রাখেন।
- 'অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব': ৩৭০ অনুচ্ছেদ জারি রাখার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও উল্লেখ করছে কেন্দ্র।
- 'ঐক্য গড়ে তুলতে এটি অনিবার্য ছিল': কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সম্পূর্ণ অংশ করে তোলার জন্য এই পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাইছে।
- 'অনুচ্ছেদ ৩৭০ স্থায়ী ছিল না': ৩৭০ অনুচ্ছেদ অস্থায়ী প্রকৃতির ছিল। আর সেটার উপরেই বারবার জোর দিয়েছে কেন্দ্র।
পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন
- ৩৭০ অনুচ্ছেদ কি সংবিধানের একটি স্থায়ী নীতি?
- যদি এটি একটি স্থায়ী বিধানই হয়, সেক্ষেত্রে সংসদের কি ৩৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার ক্ষমতা আছে?
- এটি কতদিন টানা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে থাকতে পারে?
- সাংবিধানিক পরিষদের অনুপস্থিতিতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশ করার ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে?
পিটিশনকারীদের পক্ষে আইনজীবী
কপিল সিব্বল, গোপাল সুব্রহ্মণম, রাজীব ধাওয়ান, দুষ্যন্ত দাভ, গোপাল শঙ্করানারায়ণন এবং জাফর শাহের মতো দুঁদে আইনজীবীরা আবেদনকারীদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী
কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমনি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, হরিশ সালভে, রাকেশ দ্বিবেদী এবং ভি গিরি।