জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় রায় ১১ ডিসেম্বর দেবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্তের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে অনেকগুলি আবেদন জমা পড়েছিল। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে টানা ১৬ দিন ম্যারাথন শুনানি হয়। ৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখে। এবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯ সালের অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই দুটি ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিত। সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেতারা। অগাস্টে শুনানির সময় আবেদনকারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে কেন্দ্র নিজের সুবিধার জন্য সবকিছু করছে এবং নিয়ম মেনে চলছে না। পিডিপি আদালতকে আরও বলে যে কেন্দ্র যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তৎকালীন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।
এদিকে, কেন্দ্র ৩৭০ ধারা বাতিলের সমর্থনে যুক্তি দিয়েছিল এবং স্পষ্টতই জানিয়েছিল ৩৭০ ধারা বাতিল করার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম করা হয়নি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান ভারতের সংবিধানের অধীনস্থ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান সভা বাস্তবে একটি আইন প্রণয়নকারী আইনসভা ছিল, তা দেখানোর জন্য যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে আরও বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরাবে, কিন্তু লাদাখ থাকবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।