বেঙ্গালুরুতে মহিলাকে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। খুনের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের দেহ উদ্ধার করা হল ওড়িশায়। বুধবার ওই সন্দেহভাজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ওড়িশার ভদ্রক জেলায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় যুবকের দেহ। উদ্ধার করা হয়েছে সুইসাইড নোট।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মুক্তি রঞ্জন রাই। একটি ব্যাগ, নোটবুক এবং একটি স্কুটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নোটবুকের মধ্যে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে যে, রাই নিজেই মহালক্ষ্মীকে খুন করেছেন। খুনের পর মহিলার দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রাখেন তিনি। তবে সুইসাইড নোটটি রাইয়ের লেখা কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, মহিলাকে খুনের ঘটনার পর রাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। গত ২ দিন ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তাঁর ভাইকে আটক করা হয়। রাইয়ের ভাইকে ফোন করে দেহ উদ্ধারের কথা জানায় ওড়িশা পুলিশ। তারপরেই রাইয়ের ভাই ঘটনাটি জানায় বেঙ্গালুরু পুলিশকে।
২৯ বছর বয়সী মহালক্ষ্মীর দেহ উদ্ধার করা হয় ২১ সেপ্টেম্বর। তাঁরই ফ্ল্যাটে ফ্রিজের মধ্যে থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের পর মহিলার দেহ ৫৯ টুকরো করা হয়। তারপরে তা ফ্রিজে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাবল এলাকায় এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই মহিলা। তিনি বিবাহিত। তবে স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন তিনি।