বিয়েতে রাজি ছিলেন না। অন্য জায়গায় সম্বন্ধ পাকা হচ্ছিল। আর তা মেনে নিতে না পেরে স্কুল চত্বরের মধ্যেই শিক্ষিকাকে কোপ শিক্ষকের। তার জেরে সেই শিক্ষিকা মারা যান। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্কুল চত্বরের মধ্যে অন্য শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
মৃত শিক্ষিকার নাম রামানি (২৬)। পুলিশ জানিয়েছে, রামানির সঙ্গে মদন নামে ওই শিক্ষকের সম্পর্ক ছিল। দুজনে বিয়ে করবেন বলে স্থির করেন। তবে তাতে বাধ সাধে রামানির পরিবার। রামানিও পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে বিয়েতে না বলে দেন। তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রামানির সঙ্গে মদনের ঝামেলা হচ্ছিল। সম্পর্ক তিক্ততার জায়গায় চলে যায়। এদিন স্কুলের মধ্যেই রামানি মদনকে জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। তখনই মদন রামানিকে একের পর এক ছুরির আঘাত করেন।
এই ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, ছুরি দিয়ে রামানিকে একের পর এক আঘাত করছে মদন। কয়েকজন শিক্ষক মদনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। তখন শিক্ষকরা রামানিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু পথে মারা যান ওই শিক্ষিকা। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ আসে সেখানে। মদনকে স্কুল চত্বর থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে স্কুলের ভিতর এই খুনের ঘটনায় তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়। ডিএমকে প্রশাসনের দিকে আঙুল তোলে বিরোধী AIADMK দল। সামাজিক মাধ্যমের একটি পোস্টে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন
AIADMK নেতা পালানেস্বামী।
তিনি লেখেন, 'স্কুলের ভিতরে রামানি নামে শিক্ষিকা যেভাবে হত্যা করা হল তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি স্কুলে এই ঘটনা কোনওভাবেই কাম্য নয়।' তিনি আরও যোগ করেন, 'এর আগে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের উপর হামলা হয়। এখন আবার শিক্ষিকার উপরে আক্রমণ। সরকারি পরিকাঠামো, মানুষের আইন-শাসনের প্রতি আস্থা ভেঙে পড়ছে। যা খুব উদ্বেগের। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।' পোস্টের শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের বিবৃতিও দাবি করেন তিনি।
এর উত্তরও দেন তামিলনাড়ুর স্কুল শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'স্কুলে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। এটা কাম্য নয়। স্কুলের ভিতর একজন শিক্ষিকার এই মৃত্যু কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যে বা যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক। সরকারি স্কুলের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হবে।'