scorecardresearch
 

গুজরাত হিংসা মামলা: জামিন পেলেন তিস্তা, জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট

Gujarat Riot Case: গুজরাত হিংসা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াডের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর রেগুলার জামিনের বিষয়েও হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

Advertisement
 তিস্তা শীতলওয়াড তিস্তা শীতলওয়াড
হাইলাইটস
  • গুজরাত হিংসা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াডের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট
  • তাঁর রেগুলার জামিনের বিষয়েও হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করতে পারে
  • আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে

Gujarat Riot Case: গুজরাত হিংসা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শীতলওয়াডের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর রেগুলার জামিনের বিষয়েও হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

সুপ্রিম কোর্ট আদেশে জানিয়েছে, তাঁকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। হাইকোর্ট থেকে নিয়মিত জামিন না পেলে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। অন্যদিকে তিস্তাকে এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সহায়তা করতে হবে। হাইকোর্টের তরফে রেগুলার জামিনের সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শীর্ষ আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেবে না।

কোন মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন তিস্তা?

যে মামলার শুনানি হয়েছে তা ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। তিস্তার বিরুদ্ধে সাক্ষীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া ক্লিন চিটের SIT রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে জাকিয়া জাফরির আবেদনের শুনানি করার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, তিস্তা শীতলওয়াড স্বার্থসিদ্ধি করতে ব্যস্ত ছিলেন। আদালত সঞ্জীব ভাট এবং আরবি শ্রীকুমারের দায়ের করা মিথ্যা হলফনামারও উল্লেখ করেছিল।

তবে আপাতত উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে তাঁকে বড় ধরনেরশাস্তি থেকে স্বস্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবারও শুনানির সময় বলা হয়, তিস্তার ওপর এমন কোনও ধারা আরোপ করা হয়নি যে তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না। আজ, শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্ট জোর দিয়ে বলেছে, তিস্তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া যেতে পারে।

উভয় পক্ষের যুক্তি কি ছিল?

শুনানির সময়, কপিল সিব্বল এবং এসজি তুষার মেহতার মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ তর্কাতর্কি চলে। সিব্বল বলেন, ১২৪  জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাহলে তারা কীভাবে বলতে পারেন যে গুজরাতে কিছুই হয়নি? এসবের উদ্দেশ্য তারা চায় তিস্তা যেন আজীবন জেলে থেকে যায়। জবাবে তুষার মেহতাও বলেন, তিনি ২০০২ সাল থেকে এসমস্ত কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানের দিকে আঙুল তোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

Advertisement

এও বলেন, তিস্তা জিজ্ঞাসাবাদের সময় একবারও সহযোগিতা করেননি। কোনও প্রশ্নেরই সরাসরি উত্তর দেওয়া হয়নি। এমনকী এও দাবি করা হয়েছে, গুজরাত দাঙ্গার সময় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সংগৃহীত তহবিল থেকে মদ কেনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে এই মামলায় প্রমাণের অভাব নেই।

তবে সমস্ত যুক্তি শোনার পর আদালত তিস্তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে এখনও হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জরুরি কারণ সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হবে তিস্তা রেগুলার জামিন পান কি না।

Advertisement