scorecardresearch
 

Abhishek Banerjee: দেখা মিলল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, কৃষি ভবনে বিক্ষোভে আটক অভিষেক সহ TMC নেতারা

Abhishek Banerjee: দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার অপেক্ষাই সার! পুলিশ দিয়ে কৃষি ভবন থেকে তৃণমূল সাংসদদের তুলে সরিয়ে দেওয়া হল। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও দেখা মিলল না কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর। উল্টে তৃণমূল সাংসদদের জোর করে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়া হল।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্ররা দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ঘরের বাইরে বসে অপেক্ষা করলেও তাঁর দেখা পেলেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্ররা দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ঘরের বাইরে বসে অপেক্ষা করলেও তাঁর দেখা পেলেন না।
হাইলাইটস
  • দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার অপেক্ষাই সার!
  • পুলিশ দিয়ে কৃষি ভবন থেকে তৃণমূল সাংসদদের তুলে সরিয়ে দেওয়া হল।
  • দীর্ঘ অপেক্ষার পরও দেখা হল না কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর।

Abhishek Banerjee: দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার অপেক্ষাই সার! পুলিশ দিয়ে কৃষি ভবন থেকে তৃণমূল সাংসদদের তুলে সরিয়ে দেওয়া হল। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও দেখা হল না কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর। উল্টে তৃণমূল সাংসদদের জোর করে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়া হল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্ররা দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ঘরের বাইরে বসে অপেক্ষা করলেও তাঁর দেখা পেলেন না।

মঙ্গলবার দিল্লির যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে কৃষি ভবনে পৌঁছায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সন্ধে ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মানুষের একগুচ্ছ দাবি লেখা চিঠি।

কৃষি ভবনে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দফতরের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি আজ করতে পারছেন না। যদিও অভিষেক পাল্টা জানিয়ে দেন, তাঁরা দেখা না করে যাবেন না। বাংলার মানুষের দাবিগুলি তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশ এসে তুলে দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের।

এদিন সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, দোলা সেন, শান্তনু সেনরা কৃষি ভবনে যেতেই পরিস্থিতি তপ্ত হতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির মন্ত্রকের আধিকারিকরা সাফ জানিয়ে দেন, শুধু পাঁচ জন প্রতিনিধির সঙ্গেই দেখা করবেন মন্ত্রী। কিন্তু তৃণমূলের পাল্টা দাবি ছিল, যতক্ষণ না তাঁদের ৪০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেখা করছেন, তাঁরাও ওই জায়গা থেকে উঠবেন না।

Advertisement

রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থেকে পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ভিতরে ঢুকে পড়ে। সূত্রের খবর, দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তারপর দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এর পরই অভিষেকদের কৃষি ভবনের ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। সেখান থেকে তৃণমূলের ৪০ জন প্রতিনিধিকে পুলিশ ভ্যানে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে কুইন্সওয়ে ক্যাম্পে আটক করে রেখেছে পুলিশ।

এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি টুইট করেন, “আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে। আজ আমি তৃণমূল সাংসদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ৮টা ৩০ মিনিটে অফিস থেকে বেরিয়েছি। আমি যতটা জানি, তৃণমূলের সাংসদ ও বাংলার মন্ত্রীদের প্রতিনিধি দল সন্ধে ৬টায় অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিল।”

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর ওই টুইটের জবাবে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, “দুঃখিত সাধ্বী নিরঞ্জন আপনি মিথ্যা বলছেন (এবং আমি বিনয়ের সঙ্গেই বলছি)। আপনি আমাদের প্রতিনিধি দলকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছিলেন। আপনি সমস্ত নাম যাচাই করেছেন, আমাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে প্রতিটি চেক করেছেন, আমাদের ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছেন এবং তারপরে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।” এর সঙ্গেই তিনি লেখেন, “আমরা সবাই এখন কুইন্সওয়ে ক্যাম্পে আটক রয়েছি। সূর্যাস্তের পরও মহিলা সংসদ সদস্যদের পুলিশ লাইনে আটক করা হচ্ছে। যার কোনও কাগজপত্র নেই।”

Advertisement