scorecardresearch
 

Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে মহুয়ার জবাব সন্তোষজনক নয়, শীঘ্রই উচ্ছেদের নোটিশ: সূত্র

সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। শীঘ্রই মহুয়াকে বাংলো খালি করতে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হতে পারে বলে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। 

Advertisement
হাইলাইটস
  • সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস।
  • শীঘ্রই মহুয়াকে বাংলো খালি করতে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হতে পারে।
  • টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সরকারি বাংলোতে কেন থাকতে পারবেন, এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। শীঘ্রই মহুয়াকে বাংলো খালি করতে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হতে পারে বলে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। 

সরকারি বাংলোতে কেন তিনি থাকবেন, তা জানতে মহুয়ার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। এই নিয়ে মহুয়াকে ২টি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। 

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে বাংলো খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরই এই নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। গত ৪ জানুয়ারি ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের দ্বারস্থ হতে তৃণমূল সাংসদকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতোই কেন তিনি বাংলোতে থাকবেন, তা নিয়ে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসকে নিজের বক্তব্য জানান মহুয়া। সেই বক্তব্যে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস সন্তুষ্ট হয়নি বলে সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুন

টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের সুপারিশ করে লোকসভায় রিপোর্ট পেশ করে এথিক্স কমিটি। রিপোর্ট পড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় চায় তৃণমূল। কিন্তু এই রিপোর্ট নিয়ে মাত্র আধ ঘণ্টার জন্য আলোচনায় রাজি হন স্পিকার ওম বিড়লা। মহুয়াকে বলতে সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশেই সিলমোহর দেন স্পিকার। লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। 

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী তথা মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই অভিযোগ করেন যে, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ২ কোটি টাকা এবং দামী উপহারের বিনিময়ে ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। এই নিয়ে পৃথক ভাবে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেছেন দেহাদ্রাই। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই তোলপাড় পড়ে যায়। পাল্টা সরব হন মহুয়া। তিনি অভিযোগ করেন, আদানির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণেই তাঁকে এই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন দুবে। তিনি দাবি করেন যে, মহুয়ার সংসদের লগ-ইন, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দুবাই থেকে প্রশ্ন লিখেছেন হিরানন্দানি। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে সরব হন তিনি।

Advertisement

Advertisement