Sikkim Disaster Rescue: বৃষ্টি ধসে নাজেহাল সিকিম। তিনদিন পরেও সিকিমের (Sikkim) সামগ্রিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি তো ঘটেইনি বরং টানা বৃষ্টিতে নতুন করে ধস নেমেছে কয়েকটি জায়গায়। রবিবার নতুন করে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সোমবারও তা খোলা যায়নি। তবে আটকে যাওয়া গাড়িগুলিকে কোনওমতে এলাকা পার করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক জায়গায় চলাচলের যোগ্য রাস্তাও অবশিষ্ট নেই। সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকে ছিলেন কয়েক হাজার পর্যটক। ৩ দিন পর তাদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার।
সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু হল। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ পর্যটকদের উত্তর সিকিমের বিপদসংকুল পাহাড়ি পথ টুং থেকে মঙ্গন (Toong via Mangan) পর্যন্ত পায়ে হেঁটে সরিয়ে আনা হয়। এদিনের প্রথম ব্যাচে মোট ৯ জন পর্যটক ছিলেন। তাঁরা সকলেই চুংথাংয়ের (Chunthang) গুরুদুয়ারায় আটকে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করার আর্জি জানিয়ে রবিবার আবেদনও জানিয়েছিলেন।
এদিন জেলা প্রশাসনিক দল, পর্যটন বিভাগ ও বায়ুসেনার কর্মী এবং সিকিমের পর্যটন সংস্থার দ্বারা উদ্ধারকাজ (Tourists evacuation) সম্পন্ন করা হয়। বৃষ্টির মধ্যেই ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক দুর্গম পথ পার করে পর্যটকদের হেঁটে আসতে হয়েছে। উদ্ধারকারী দলটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে এবং নিরাপত্তা মাধ্যমে উদ্ধারকাজটি পরিচালনা করেছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত লাচুংয়ে (Lachung) আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। উত্তর সিকিমের লাচুং, চুংথাং, জঙ্গুতে আটকে রয়েছে বহু পর্যটক। রবিবারই আকাশপথে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে থমে যায় উদ্ধারকাজ।
শনিবার রাত থেকে পাহাড়ি রাস্তায় নতুন করে একের পর এক ধসের খবর মিলেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ সিকিমের একাধিক জায়গায়। সিকিম সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স অঞ্চলে বৃষ্টি কমার নামই নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সিকিমে ১৯৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে থমকে রয়েছে উদ্ধারকাজ।
বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি সারাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর সিকিমের ডিকচু-সাংক্লাং-টুং, মাঙ্গান-সাঙ্কলাং, সিংথাম-রাংরাং এবং রংরাং-টুং রাস্তায় ধস নেমেছে। এছাড়াও এই রাস্তাগুলিতে অনেক জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। সাংক্লাং-এ একটি নবনির্মিত ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। টুং থেকে সাংক্লাং পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা পরিষ্কার করেছে বিআরও।