scorecardresearch
 

Bangladesh: ত্রিপুরার সীমান্তে ধুন্ধুমার, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সনাতনী ঐক্যমঞ্চের

বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ও সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সীমান্তে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাল সনাতনী ঐক্যমঞ্চ। রবিবার, ১ ডিসেম্বর সনাতনী ঐক্যমঞ্চের তরফে 'বাংলাদেশ চলো' অভিযানের ডাক দেওয়া হয় ত্রিপুরার সুতারকান্দি সীমান্তে। এই অভিযানের আগে উলুকান্দিতে একটি জনসভার ডাক দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। সেখানে সভার করার পরই শুরু সীমান্তে অভিযান।

Advertisement
সীমান্তে ধস্তাধস্তি। সীমান্তে ধস্তাধস্তি।

বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ও সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সীমান্তে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাল সনাতনী ঐক্যমঞ্চ। রবিবার, ১ ডিসেম্বর সনাতনী ঐক্যমঞ্চের তরফে 'বাংলাদেশ চলো' অভিযানের ডাক দেওয়া হয় ত্রিপুরার সুতারকান্দি সীমান্তে। এই অভিযানের আগে উলুকান্দিতে একটি জনসভার ডাক দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। সেখানে সভার করার পরই শুরু সীমান্তে অভিযান। যদিও এই অভিযানের খবর পেয়ে আগেই সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। মোতায়েন ছিল বিএএসএফ, সিআরপিএফও। এই অভিযান আটকাতে পথে নেমেছিলেন খোদ শ্রীভূমির পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসও। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় সনাতনী ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা। যদিও সুতারকান্দি সীমান্তের বহু আগেই কিন্তু বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় সেনা।

এদিন বিক্ষোভকারীরা বিশাল মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকেন সীমান্তের দিকে। বিক্ষোভকারীরা 'জয় শ্রীরাম', 'ইউনূস সরকার হায় হায়', ইউনুস মুর্দাবাদ, নিঃশর্তে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি চাই, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করো। এই মর্মে স্লোগান দিতে দিতে সীমান্তের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তবে এদিন ব্যারিকেড ভেঙে সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। সেই বিক্ষোভের ছবি পরে ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ডঃ মহম্মদ ইউনুসকে মৌলবাদী আখ্যায়িত করে কুশপুত্তলিকা পোড়ায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা বিলোনিয়ার হিন্দু সনাতনী নাগরিক সমাজ। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে হিন্দুদের উপর আক্রমণ, ঘরবাড়ি, মঠ, মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া-সহ হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যার পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দু ধর্ম প্রচারক চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করার প্রতিবাদে মহম্মদ ইউনুসকে জুতোপেটা করে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয় বিলোনিয়ার হিন্দু সনাতনী নাগরিক সমাজ।  হিন্দু সনাতনী সমাজের নাগরিকরা এই বিক্ষোভে শামিল হন। বিক্ষোভ থেকে স্লোগান ওঠে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপর আক্রমণ মানছি না। অবিলম্বে হিন্দুদের উপর ও বিভিন্ন মন্দিরের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে, চিন্ময় প্রভুকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় হিন্দু সনাতনীরা অন্য পথ বেছে নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতেও রাস্তায় নামে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সোমবার, ২ ডিসেম্বর দুপুরে হাতে খোল, করতাল নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে জমায়েত করেন তাঁরা।এর আগে খোল, করতাল নিয়ে শহরে মিছিল করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের শতাধিক সমর্থক‌। শেষে জেলাশাসকের দপ্তরে এসে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা। বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সেখানে হিন্দুদের উপর পাশবিক নির্যাতন ও আক্রমণ চলছে বলে অভিযোগ। এর‌ই প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে মিছিল করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করা‌ হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া সদস্যরা হাতে খোল, করতাল নিয়ে প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশে হিন্দুদের অধিকার ও হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি করেন তারা। এই নিয়ে স্লোগান দেন মিছিলে।
 

উল্লেখ্য, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশে হাই কমিশন চত্বরে ঢুকে পড়েন একদল প্রতিবাদী যুবক। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ও সেখানকার হিন্দুদের উপর হামলার খবরের প্রতিবাদে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিল থেকেই এই ঘটনা ঘটে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এই মিছিলের থেকেই প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী আলাদা হয়ে যান। তাঁরা বাংলাদেশি মিশনের চত্বরে প্রবেশ করেন।

Advertisement