কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার সেনা অপারেশনে খতম হয়েছে লস্করে বড় কমান্ডার।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে শ্রীনগরের রামবাঘ এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পায় সিআরপিএফ। কাশ্মীর পুলিশের জঙ্গি মোকাবিলার বিশেষ বাহিনীকে নিয়ে অভিযানে নামে তারা। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সার্চ অপারেশন, খতম ২ জঙ্গি
কাশ্মীর পুলিশের এক অফিসার জানান, তাঁরা মূলত সার্চ অপারেশন করতে গিয়েছিলেন। আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় যৌথ বাহিনী। নিকেশ হয় দুই জঙ্গি।
জম্মু-কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানান, মৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম সইফুল্লা। লস্করের কম্যান্ডার সইফুল্লা আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা। অপর আরেক জঙ্গি কাশ্মীরের বাসিন্দা। সাম্প্রতিক কালে উপত্যকায় সেনার উপরে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা হয়। সেইসব হামলায় সইফুল্লাই জড়িত ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি কাশ্মীরে জাতীয় সড়কে সেনার কনভয়ে কয়েকদিন আগে হামলার ঘটনাতেও সইফুল্লাই মূল মাথা ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
বিগত কয়েকদিন পর পর অভিযান
বিগত কয়েকদিনে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন লস্করের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। ১০ অক্টোবর কুলগ্রামে সেনা অপারেশন খতম হয় লস্করের শীর্ষ কমান্ডার জাহিন নাজির-সহ আরও এক জঙ্গি। ওইদিনই পুলওয়ামাতেও আরও দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারের বড়সড় ছক ভেস্তে দিয়েছিল সেনা। রাজৌরি সেক্টরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়। ৪টি একে৪৭ রাইফেল-সহ বিরাট পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার হয়। কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক চালানোর জন্যই পাকিস্তান থেকে এই অস্ত্র চোরাই পথে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে মনে করছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তারা। সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সেনা।