Sadhvi Niranjan Jyoti: কলকাতায় এসে তৃণমূলকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরই পাল্টা জবাব দেন নিরঞ্জন জ্যোতি। তাঁর দাবি, বাধ্য হয়ে কলকাতা আসতে হয়েছে তাঁকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আমাকে বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে। দু'দিন আগে জানানো হয়েছিল, তৃণমূলে প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। আমি তাদের আসতে বলি। আমি সেই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি পৌঁছই। জিজ্ঞেস করেছিলাম কত জন আসবে? তাঁরা জানান ১০ জন এসে দেখা করবেন। পরে মহুয়া মৈত্র এসে বলেন, তিনি একা দেখা করতে চান।"
আরও বলেন, "আমি বলেছিলাম ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে দেখা করব না। রাত ৮টার দিকে তারা বলেন পুরো সাংসদ প্রতিনিধি দল দেখা করবেন। আমাকে একটা ভিডিও করতে হয়। কারণ, মহুয়া মৈত্র আমাকে এবং মোদীজিকে মিথ্যেবাদী বলেন। ওরা দাবি করেন, আমি পিছনের গেট থেকে চলে গেছি। তৃণমূল গোটাটাই মিথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি ক্ষমতায় এসে বামপন্থী গুন্ডাদের মোকাবিলা করবেন। আজ তারা তাদের জন্য কাজ করে।"
তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল নাটক করতে চায় এবং কথা বলতে চায় না আমি নেতা নই, একজন সাধ্বী। মহুয়া মৈত্র যেভাবে আমাকে মিথ্যেবাদী বলেছে। মুখোমুখি হতে না চাইলে আমি কলকাতায় আসতাম না। আমি আবার বলছি আপনার সমস্ত সচিবদের সঙ্গে দেখা করব তবে ভুয়ো জব কার্ড স্ক্র্যাপ না করা পর্যন্ত বেতন দেওয়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তিনবার চিঠি দিয়েছি, সরকার তদন্ত করেনি, যদি তারা করে তবে তারা তাদের নিজেদের নেতাদেরই খুঁজে পাবে।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবি নিয়ে দিল্লি যাত্রা করেছিল তৃণমূল সাংসদ-বিধায়ক ও ভুক্তভোগীরা। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। তবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তারই পাল্টা জবাব দিতে কলকাতা আসেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী।