দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ও কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। তারা বলেন, "ভারতে প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষিত করার আশা প্রকাশ করে।" রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিচ বলেন, "তারা আশা করেন যে ভারতের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত হবে। আমরা চাই সবাই যেন নির্ভয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।"
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রশ্নে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার পরে এবার রাষ্ট্রসংঘ। আবগারি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতারের বিষয়ে, জার্মানি বলেছিল "এই বিষয়ে সম্পূর্ণ পদক্ষেপটি ন্যায্য হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে কোনও বাধা ছাড়াই আইনি উপায় অবলম্বন করার অধিকার দেওয়া উচিত।" বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আইনের শাসন ও মৌলিক নীতির ওপরও জোর দিয়েছেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশারকে কেজরিওয়ালের গ্রেফারি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, "আমরা বিষয়টি বিবেচনা করেছি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি এবং আশা করি যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কিত মান এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতিগুলি এক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।"
আমেরিকা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের তীব্র আপত্তি জানায়। আমেরিকা বলেছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিরোধী ব্যক্তিত্ব কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি এবং দেশে একটি ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার আশা করছি।"
প্রকৃতপক্ষে, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের বিষয়ে জার্মানির মন্তব্যের পরে, ভারত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। এই ঘটনার পরই এ বিষয়ে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া জানায়।