গ্রেফতার হলেন খান স্যার। বিহারে ৭০তম বিপিএসসি প্রবেশিকা পরীক্ষার ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য খান স্যারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর বিহারে হতে চলা বিপিএসসি প্রবেশিকা পরীক্ষার নিয়মে বদল নিয়ে রাজধানী পাটনাতে বিপিএসসি দফতরের বাইরে বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। শুক্রবার পুলিশ প্রদর্শনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করে।
এই বিক্ষোভ চলাকালীন, প্রার্থীদের গার্ডনিবাগের প্রতিবাদস্থলে পাঠানো হলে খান স্যার তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং প্রার্থীদের সমর্থন করার সময় তিনি বিহার সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন।
বিপিএসসি পরীক্ষার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে
তবে, প্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে, বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনও পরীক্ষার বিষয়ে একটি স্পষ্টীকরণ জারি করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রক্রিয়া গ্রহণ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণের বিষয়ে কোনও প্রস্তাব না থাকা অবস্থায় কীভাবে একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ তৈরি করা হয়ে তা নিয়ে কমিশন হতবাক।
স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে কোনও প্রস্তাব না থাকা অবস্থায় এই পরীক্ষায় স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণের বিষয়ে কমিশনের বিভ্রান্তিকর খবর কীভাবে এলো?
পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে কোচিং অপারেটর ও স্থানীয় ছাত্রনেতারা এই পরীক্ষায় স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণের বিষয়ে কাল্পনিক গুজব ছড়াচ্ছেন বলেও তাদের দাবি। এ ব্যাপারে কোন পরিচ্ছেদে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট করা হচ্ছে এই পরীক্ষার জন্য ৭০ তম বিপিএসসির প্রাথমিক পরীক্ষা। এখানে স্বাভাবিককরণ গ্রহণের বিষয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি বা এর পর স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে কমিশন পর্যায় থেকে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
স্বাভাবিকীকরণ কী?
সাধারণীকরণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরগুলিকে স্বাভাবিক করা হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় যখন পরীক্ষা একাধিক শিফটে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিককরণের সাহায্যে, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের শতাংশ স্কোর গণনা করা হয়।