ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক পরিচারিকা গত ৮ বছর ধরে একটি বাড়িতে কাজ করছিল। সে তার মনিবের পরিবারের জন্য রান্না করা খাবারে প্রস্রাব মেশাত। ধীরে ধীরে পুরো পরিবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই জঘন্য কাজটি প্রকাশ্যে আসে যখন মালিক তার রান্নাঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন, তারপরই পুরো বিষয়টি সামনে আসে।
আসলে, গাজিয়াবাদের থানা ক্রসিং রিপাবলিক এলাকার একটি সোসাইটিতে বসবাসকারী এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও তার পরিবার গত কয়েক মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা পেট ও লিভারের রোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে পরিবারের লোকেরা এটিকে স্বাভাবিক সংক্রমণ বলে মনে করেছিল এবং ডাক্তারদের দ্বারা এটির চিকিত্সা করা হয়েছিল, তবে অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
যখন তার স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে, তখন তিনি সন্দেহ করেন যে তার খাদ্যাভাসে কিছু ভুল ছিল।
এর পরে, পরিবারের সদস্যরা তাদের রান্নাঘর এবং অন্যান্য অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে, যাতে খাবারের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা যায়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেছে তা খুবই মর্মান্তিক ও শিউরে ওঠার মতো। বাড়িতে কাজ করা কাজের মেয়ে রিনা রান্না করার সময় খাবারে প্রস্রাব মেশাচ্ছিল। এই জঘন্য কাজ দেখে পুরো পরিবার হতবাক হয়ে যায়।
নির্যাতিতার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগে অভিযোগ করা হয়েছে যে গৃহকর্মী গত ৮ বছর ধরে তাদের জায়গায় কাজ করছিলেন। এমন জঘন্য কাজ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিল গৃহকর্মী। থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, কয়েক মাস থেকে পরিবারের সদস্যরা লিভারের রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে ইনফেকশন ভেবে ডাক্তারের পরামর্শ নিলাম, কিন্তু আরাম পাইনি।
পুরো বিষয়টি নিয়ে কী বলল পুলিশ?
এর পরে, কিছুক্ষণ আগে, বাড়িতে এবং রান্নাঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, যার ফুটেজে পরিচারিকাকে একটি পাত্রে প্রস্রাব দিয়ে খাবার রান্না করতে দেখা যায়। ডিসিপি সুরেন্দ্র নাথ তিওয়ারি বলেছেন যে অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রসিং রিপাবলিক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত গৃহকর্মী রিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।