দেশের প্রথম স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেনটি বর্তমান প্রিমিয়াম রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের চেয়ে দ্রুত গতির হবে। যার কারণে কম ভাড়ায় বেশি দূরত্ব কম সময়েই যেতে পারবেন যাত্রীরা। দুই সরকারি কর্তা একথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলি ভ্রমণের সময় ২ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে। তাঁরা আরও বলেছেন যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের প্রথম প্রোটোটাইপ মার্চের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু হবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ ট্রেনটি চালু করে দেওয়া হতে পারে।
ওই সরকারি কর্তা বলেন, 'বন্দে ভারত স্লিপার কোচগুলি আইসিএফ (চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) এ ডিজাইন করা হয়েছে, সেগুলি ভ্রমণের সময় ২ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে, এইভাবে বর্তমানে রেলের হাতে থাকা অন্য যে কোনও ট্রেনের চেয়ে দ্রুত গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছবে। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন রাতেও চলবে। এর প্রথম রুটটি ট্রাঙ্ক রুটের যে কোনও একটিতে হবে, হয় দিল্লি-মুম্বই অথবা দিল্লি-হাওড়া রুটে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত বছরের অক্টোবরে জানিয়েছিলেন যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলির মৌলিক নকশা অনুমোদিত হয়েছে এবং কোচের উৎপাদন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন যে যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার দিকে মনোনিবেশ করা হবে। তিনি বলেন যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে শুধুমাত্র আধুনিক অভ্যন্তরীণ ডিজাইনই নয়, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
রেলের এক আধিকারিক বলেছেন যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে ১৬টি কোচ থাকবে, যার মধ্যে 1AC টিয়ারের একটি মাত্র কোচ থাকবে, সামগ্রিকভাবে ৮৫৭টি বার্থ থাকবে। তিনি বলেন যে ICF এবং ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন স্লিপার সংস্করণ তৈরি করছে। থ্রি টিয়ার কোচে বার্থের পাশে এবং পার্টিশন দেওয়ালে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত হ্যান্ডহোল্ডার, মিডল বার্থের জন্য পরিবর্তিত বেল্ট সিস্টেম থাকছে। এছাড়াও ভারী খাবার টেবিলও পরিবর্তন করা হবে। বার্থ থেকে বার্থ এবং বার্থ থেকে সিলিং পর্যন্ত যথেষ্ট উচ্চতা রাখা হবে। সমস্ত কোচের আলোকসজ্জা উন্নত করা হবে। বার্থ, এয়ার ডাক্ট, ক্যাবল ডাক্ট, ওয়াশরুমের ডিজাইনের কাজ চলছে। বর্তমানে, BEML, ICF এই ধরনের দশটি ট্রেন তৈরি করছে।