scorecardresearch
 

Ram Mandir Ayodhya: বেনারসে তৈরি হচ্ছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার যজ্ঞ পাত্র, গদা, শঙ্খ, তুঙ্গে প্রস্তুতি

আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা খালি সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানেরই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজারীরা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। ধর্মীর প্রথা, রীতি মেনেই পুরোটা হবে। কাশীর জ্যোতিষী, পুরোহিতরা ইতিমধ্যেই পুজোর শুভ সময় জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়। কাশীর দক্ষ কারিগরদের হাতও থেমে নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অনুষ্ঠান ও পুজোর সমস্ত দ্রব্য তৈরি করছেন  তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছে পুজোর মণ্ডপে স্থাপিত পাঁচটি যজ্ঞের পাত্র, অরণি মন্থন এবং চারটি গদা, চক্র, পদ্ম ও শঙ্খ।

Advertisement
হাইলাইটস
  • আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা খালি সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
  • সেই অনুষ্ঠানেরই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজারীরা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। ধর্মীর প্রথা, রীতি মেনেই পুরোটা হবে।
  • কাশীর জ্যোতিষী, পুরোহিতরা ইতিমধ্যেই পুজোর শুভ সময় জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়। কাশীর দক্ষ কারিগরদের হাতও থেমে নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অনুষ্ঠান ও পুজোর সমস্ত দ্রব্য তৈরি করছেন  তাঁরা।

আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা খালি সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানেরই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজারীরা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। ধর্মীর প্রথা, রীতি মেনেই পুরোটা হবে। কাশীর জ্যোতিষী, পুরোহিতরা ইতিমধ্যেই পুজোর শুভ সময় জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়। কাশীর দক্ষ কারিগরদের হাতও থেমে নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অনুষ্ঠান ও পুজোর সমস্ত দ্রব্য তৈরি করছেন  তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছে পুজোর মণ্ডপে স্থাপিত পাঁচটি যজ্ঞের পাত্র, অরণি মন্থন এবং চারটি গদা, চক্র, পদ্ম ও শঙ্খ।

কীভাবে কাজ এগোচ্ছে?
বারাণসীর রামপুরা এলাকা সাদামাঠা একটি বাড়ি। তার একতলায় একটি ছোট কারখানা। সেখানেই একমনে কাজ করে চলেছেন সুরজ বিশ্বকর্মা। হ্যাঁ, নামেই তাঁর 'বিশ্বকর্মা'। পুজোর জন্য ৭টি গ্রহের কাঠ খোদাই করার কাজ পেয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবারের সকলেই এই পেশার সঙ্গেই জড়িত। সুরজ জানালেন, এই পেশায় তাঁর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের বাহক তিনি।

সুরজের থেকেই জানা গেল, যজ্ঞপত্রের মোট ১০ সেট তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি সবই অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য। প্রতিটি সেটে ৫টি করে জিনিস রয়েছে। রয়েছে ঘি নিবেদনের জন্য 'শ্রুব', পূর্ণাহুতির জন্য 'সুরাচি', জলের পাত্রের জন্য 'প্রণিতা', ঘি-র পাত্রের জন্য 'প্রক্ষনি' এবং বেদীর জিনিস টানার জন্য 'খড়গ'। এই যজ্ঞের পাত্রগুলি যজ্ঞের সময় ব্যবহার করা হয়। যাঁরা মোটামুটি যজ্ঞ দেখেছেন, তাঁরা এগুলি দেখলেই চিনতে পারবেন।

আরও পড়ুন

সুরজ জানান, অযোধ্যায় পাঠানো ১০টি সেটের মধ্যে ৯টি সেট নয়টি কুন্ডিয়া হবন কুণ্ডে এবং একটি সেট রাম মন্দিরের বাস্তুতে ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, যজ্ঞের পাত্র ছাড়াও অরণি মন্থনও প্রস্তুত করা হচ্ছে যজ্ঞের অগ্নি তৈরির জন্য। এটিরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে ঘর্ষণের দ্বারা আগুন জ্বলে ওঠে।

Advertisement

সুরজ জানান, এগুলি ছাড়াও মণ্ডপে বসানোর জন্য শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি মণ্ডপের চার দিকে রাখা হবে। নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী সমস্ত পুজোর উপকরণ বানানো হচ্ছে। 

সুরজ জানান, পূর্বপুরুষদের থেকেই এই সমস্ত হাতের কাজ শিখেছেন তিনি। তাঁদের আবার সেই কাজ, নিয়ম শিখিয়েছিলেন কাশীর বিখ্যাত পণ্ডিত পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের কাকা গণেশ দীক্ষিত। এই পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতই অযোধ্যায় অভিষেক অনুষ্ঠান করবেন। সুরজ বলেন, এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমার হাতে তৈরি জিনিস এত বড় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই অযোধ্যার অর্ডারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

TAGS:
Advertisement