Varanasi Ghat: কাশীতে গঙ্গা স্নানের পর মানুষ এখন গঙ্গায় ভাসমান চেঞ্জিং রুমের সুবিধা পাবেন। দশাশ্বমেধ ঘাটে ভাসমান চেঞ্জিং রুমের পাইলট প্রোগ্রামের সাফল্যের পরে, এখন কাশীর অন্যান্য ৬ টি ঘাটেও এই সুবিধা দেওয়া হবে। সে জন্য এসব ঘাটে ফ্লোটিং চেঞ্জি রুম নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী সফরের সময় ৭ জুলাই অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তীর্থযাত্রীরা এবং পর্যটকরা উপহার পাচ্ছেন
৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর উত্তরপ্রদেশ সফর। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংসদীয় এলাকা বারাণসীকে অনেক প্রকল্প উপহার দিতে চলেছেন। যার মধ্যে গঙ্গার ৬টি ঘাটে ভাসমান চেঞ্জিং রুমের উপহারও রয়েছে। গঙ্গায় স্নান করে পোশাক বদলানোর জন্য এখন কাশীর ঘাটে ভাসমান চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ভাসমান জেটিতে এসব চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই ভাসমান জেটিগুলি ৩৪ মিটার দীর্ঘ এবং৮ মিটার চওড়া হবে, যার অর্থ তাদের উপর পোশাক পরিবর্তনের জন্য তৈরি কক্ষগুলি বেশ প্রশস্ত হবে।
এই ঘটাগুলিতে মিলবে সুবিধা
৫.৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি গঙ্গা ঘাটে এই চেঞ্জিং রুমগুলি তৈরি করা হবে। এর জন্য অসি ঘাট, রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘাট, রাজঘাট, কেদার ঘাট, পঞ্চগঙ্গা ঘাট এবং শিবালা ঘাট বেছে নেওয়া হয়েছে যেখানে ভাসমান জেটি চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হবে। প্রতিটি ভাসমান চেঞ্জিং রুমে ১০ জন মহিলা এবং ১০ জন পুরুষের জন্য আলাদা চেঞ্জিং রুম থাকবে যাতে এত মানুষ গঙ্গা স্নানের পরে একসঙ্গে পোশাক পরিবর্তন করতে পারে। এসব ঘাটে এই সুবিধা দেওয়ার পর অন্যান্য ঘাটের জন্যও পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। বারাণসীর গঙ্গার ঘাটে বিদেশী পর্যটকরাও প্রচুর সংখ্যক আসেন এবং গঙ্গায় স্নান করেন। এমন পরিস্থিতিতে, বারাণসীকে স্মার্ট সিটি বানাতে এই চেঞ্জিং রুমগুলি শহরের পর্যটকদের সুবিধার জন্যও কার্যকর হবে।
দশাশ্বমেধ ঘাটের পাইলট প্রকল্প সফল হয়েছে
গত জুন মাসে বারাণসীতে ফ্লোটিং চেঞ্জিং রুম চালু করা হয়। এটি একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে দশাশ্বমেধ ঘাটে শুরু হয়েছিল। এতে অনেক সাফল্য এসেছে। ঘাটে মানুষের ভিড় ও জায়গার অভাবে গঙ্গায় ভাসমান চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়। জুন মাসেই দশাশ্বমেধ ঘাটে এই সুবিধা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি মানুষ এটি ব্যবহার করেছেন। বারাণসী স্মার্ট সিটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর ডি. বাসুদেবন বলেছেন, পাইলট প্রকল্প হিসাবে দশশ্বমেধ ঘাটে একটি ভাসমান জেটি চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়েছিল৷ তীর্থযাত্রীদের স্নানের সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তার জন্য দশাশ্বমেধ ঘাটে এই পরিকল্পনা অত্যন্ত সফল হয়েছে। প্রতিদিন ৫ হাজারেরও বেশি ভক্ত এই চেঞ্জিং রুমটি ব্যবহার করছেন, যেখানে গঙ্গা দশেরাতে একদিনে ৫৫ হাজার মানুষ এটি ব্যবহার করেছেন।