সিঁদুর পরা বিবাহিত মহিলাদের কর্তব্য। মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর দেখে বোঝা যায় যে তিনি বিবাহিত। সিঁদুর না পরার অর্থ হল স্বামীর প্রতি বিদ্বেষ। তাই মহিলাদের সিঁদুর পরা উচিত। পর্যবেক্ষণ কোর্টের। ঘটনা ইন্দোরের। এক মহিলার সিঁদুর পরা নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করে তাঁকে স্বামীর সঙ্গে ঘর করার পরামর্শও দিয়েছে ইন্দোরের ফ্যামিলি কোর্ট। ওই মহিলা স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকছিলেন। তবে ইন্দোর ফ্যামিলি কোর্টের সাফ নির্দেশ, ওই মহিলাকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে হবে।
ইন্দোরের এক বিবাহিত মহিলা স্বামীর সঙ্গে থাকছিলেন না। প্রায় ৫ বছর ধরে তিনি আলাদা থাকছিলেন। স্ত্রী-কে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে ইন্দোরের ফ্যামিলি কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জানান, বিগত ৫ বছর ধরে তাঁর স্ত্রী কোনও কারণ ছাড়াই স্বামীর থেকে আলাদা বসবাস করছেন। ওই ব্যক্তির আইনজীবী আরও জানান, এত বছর বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না স্ত্রী। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এমনকী ওই মহিলা সিঁথিতে সিঁদুর পরাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে কোর্টের তরফে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তখন মহিলা জানান, তিনি স্বামীকে ছাড়া থাকেন, তাই সিঁথিতে সিঁদুর পরেন না। এমনকী তিনি যখন কোর্টে এসেছিলেন তখনও সিঁথিতে সিঁদুর ছাড়াই এসেছিলেন।
এদিকে শুনানির সময় ইন্দোর ফ্য়ামিলি কোর্ট অসম-গুয়াহাটি হাইকোর্টের একটি আদেশ উদ্ধৃত করে। ফ্যামিলি কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, স্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি স্বামীকে ত্যাগ করেননি। উভয়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের কোনও মামলা নেই। স্ত্রী নিজেই নিজের ইচ্ছেয় কোনও কারণ ছাড়া আলাদা বসবাস করছেন।
যদিও স্ত্রী তাঁর জবানবন্দিতে স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন। তিনি কোর্টকে জানান, তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত। পণের জন্য মাঝে মাঝে মানসিক নির্যাতন করেন। সেই কারণে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। তবে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত আবেদনকারীর পক্ষে আদেশ দেয় যে, স্ত্রীকে অবিলম্বে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হবে। আদালতের এও পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ওই মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ করেননি। তিনি এখনও আইনত স্ত্রী। তাই তাঁকে সিঁদুর পরতে হবে। সিঁদুর না পরার অর্থ হল স্বামীর প্রতি বিদ্বেষ।