Man With Grandson Dragged On the Road to Death: উত্তরপ্রদেশের মোহবাতে দ্রুতগতির ডাম্পার একটি স্কুটারেকে সবার ঠাকুরদা এবং নাতিকে টানতে টানতে নিয়ে গেল কয়েক কিলোমিটার। স্কুটারে আটকে থাকা শিশু এবং ঠাকুরদা ২ কিলোমিটার যাওয়ার পর তাতে আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না। পথ চলতি জনতা ড্রাইভারকে গাড়ি থামানোর জন্য চিৎকার করতে শুরু করলেও ড্রাইভার উল্টো আরও গতি বাড়িয়ে দেয়। ড্রাইভার গাড়ি থামাচ্ছে না দেখে লোকজন পাথর ছুড়লে শেষমেষ বাধ্য হয়ে গাড়ি থামায় ড্রাইভার। ঘটনায় ঠাকুরদা এবং নাতি দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোহবার কানপুর-সাগর হাইওয়ের উপরে। বলা হচ্ছে যে হামিরপুর চুঙ্গির কাছে বসবাসকারী রিটায়ার্ড অধ্যাপক উদিত নারায়ণ চানসুরিয়া ৬৭ বছর এবং তার ছয় বছরের নাতি সাত্ত্বিক স্কুটারে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। ঠাকুরদাই ছেলের স্কুটারে নাতিকে ঘুরিয়ে নিয়ে ঘোরাচ্ছিলেন। তারা যখনই স্কুটারে চড়ে বাড়ি থেকে বেরোয়। মোহবা থেকে খবরই এর তরফে যাওয়া একটি দ্রুতগতির ডাম্পার স্কুটারে জোরে ধাক্কা দেয়। অনিয়ন্ত্রিত ডাম্পার স্কুটি চালক উদিত নারায়নবাবুকে সঙ্গে সঙ্গে পিষে দেয়। সেখানে স্কুটিতে থাকা ছয় বছরের সাত্ত্বিক সঙ্গেই ডাম্পারের সঙ্গে আটকে যায়। ডাম্পার চালক স্কুটিকে টানতে টানতে প্রায় দু কিলোমিটার নিয়ে যায়। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকেরা ট্রাক আটকানোর অনেক চেষ্টা করলেও ড্রাইভার উল্টো পালানোর চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয় লোকেরা নিজেদের গাড়ি বাইক নিয়ে ডাম্পারটির পিছনে ধাওয়া করে এবং রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে ডাম্পারকে লক্ষ্য করে ছুটতে থাকে। এরপর বাম্পার চালক বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে ততক্ষণে স্কুটিতে শিশুটির মৃত্যু হয়ে গিয়েছে।
এই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার খবর মিলতেই পরিবার-পরিজনেরা ছুটে যান এলাকায়। সেখানে এসডিএম সদর জিতেন্দ্র কুমার ও অন্যরা সঙ্গে শহরের কোতোয়ালি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তখনই দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাদের বাঁচানো যায়নি এবং নাতির একসঙ্গে এরকম নৃশংস ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। পুলিশ মৃতদেহ দুটিকে পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠিয়েছে এবং ডাম্পারটিকে আটক করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।