Sambhal Violence: উত্তরপ্রদেশের সম্বলের জামা মসজিদে সার্ভে চলাকালীন ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার এসপি একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের নাম নোমা না, বিলাল ও নাঈম। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দুইজন মহিলা সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ ওই মহিলারা ছাদ থেকে পাথর ছুড়ছিল।
উপ-পরিদর্শক বিকাশ নিরওয়াল, যিনি বিশৃঙ্খলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, আজতককে জানিয়েছেন, সকালে প্রায় ৩০০ জন লোকের ভিড় ছিল। তার পিছনে লোকজনও ছিল। এরা পুলিশকে টার্গেট করে। সাব ইন্সপেক্টরও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে, শনিবার সকালে, আদালতের নির্দেশে দলটি জরিপ করতে পৌঁছলে স্থানীয় লোকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে, পরে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগও শুরু করে। এ সময় এসপি সহ অনেক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
সম্বলে পাথর ছোড়ার ঘটনায় এসপি কৃষ্ণ কুমার বলেন, 'পাথর নিক্ষেপকারীরা তাদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুলিশকর্মীদের আক্রমণের চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে NSA-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ড্রোন দিয়ে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা চলাকালীন সম্বলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরে, মোরাদাবাদের ডিআইজি মুনিরাজের সঙ্গে বরেলি জোনের এডিজি রমিত শর্মাকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুরো এলাকায় পিএসির তিনটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মসজিদে জরিপ শেষে এডভোকেট কমিশনারের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো জরিপের ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৯ নভেম্বর এডভোকেট কমিশনার তার প্রতিবেদন দেবেন।
অখিলেশ যাদব বললেন, আশা ছেড়ে দিন...
সপা প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, 'সম্বলে শান্তির আবেদনের পাশাপাশি, কেউ যেন ন্যায়বিচারের আশা হারাতে না পারে সেই আবেদনও রয়েছে। অন্যায়ের শাসন বেশিদিন থাকে না, সরকার পরিবর্তন হবে এবং ন্যায়ের যুগ আসবে।
মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের দাবি
জরিপ চলাকালীন সেখানে কী পাওয়া গেছে তা বলে দেবে অ্যাডভোকেট কমিশনার যে রিপোর্ট দেবেন। এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে কারণ হিন্দু পক্ষ দাবি করেছে যে এই মুঘল আমলের মসজিদটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের জায়গায়। এই দাবির পর আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের নেতৃত্বে দলটি জামা মসজিদের ভিতরে গিয়ে জরিপ চালায়।
অখিলেশ প্রশ্ন করলেন আবার সমীক্ষা কেন?
সমীক্ষা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ার পরে, অখিলেশ যাদব এই নিয়ে যোগী সরকারকে আক্রমণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'যখন জরিপ করা হয়েছে তাহলে আবার কেন করা হলো, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সম্বলে যা হয়েছে তা বিজেপি এবং প্রশাসন একসঙ্গে করেছে। যাতে নির্বাচনের প্রবণতা নিয়ে আলোচনা না হয়। সত্যিকারের বিজয় জনগণের কাছ থেকে আসে, সিস্টেম থেকে নয়। এখানে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না এবং সিস্টেমকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।