প্রয়াত হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিং (Virbhadra Singh)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ ভোর ৩টে ৪০ নাগাদ সিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত প্রায় ২ মাস ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। পরপর দুবার করোনায় আক্রান্ত হন বীরভদ্র সিং। তবে দুবারই করোনাকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর গত দিন দুয়েক ধরে শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। যার জেরে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে।
এক বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন ছিল বীরভদ্র সিং-এর। মোট ৬ বার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে মোট ৯ বার হয়েছিলেন বিধায়ক। পাশাপাশি ৫ বার সাংসদ হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে সোলন জেলার আরকি কেন্দ্রের বিধায়ক থাকাকালীনই থেমে গেল এই রাজনীতিকের জীবন।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসার জন্য বুধবারই রামপুর থেকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যওয়া। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন তিনি। ফলে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
বীরভদ্র সিং প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয় ১৯৮৩ সালে। ১৯৯০ পর্যন্ত পরপর দুবার ওই পদে ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৩-২০০৭ ও ২০১২-২০১৭ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া ২০০৯ সালে ২৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রীও হয়েছিলেন।