ছত্তিশগড়ে 'বিষ্ণু'। মধ্যপ্রদেশে 'শিব'। না, পুজো-আচ্চার কথা বলা হচ্ছে না। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের পর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ছত্তিশগড়ে ইতিমধ্যেই বিষ্ণুদেব সাইয়ের নাম 'ফাইনাল' করে ফেলেছে বিজেপি হাইকম্যান্ড। বিধায়ক দলের বৈঠকে বিষ্ণুদেব সাইয়ের নাম নিয়ে সম্মতি জানানো হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং-ও বিষ্ণুদেব সাইয়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। পরে সেটি সবার সম্মতিতে গৃহীত হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিষ্ণুদেব সাই। শীঘ্রই শপথের তারিখও ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেও মধ্যপ্রদেশে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। মধ্যপ্রদেশে শাসনের ভার কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিবরাজ সিং চৌহানই কি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন? নাকি দল নতুন মুখ আনার চেষ্টা করবে? আপাতত সেই নিয়েই তুঙ্গে জল্পনা।
তবে খুব শীঘ্রই মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সোমবারই সেখানে বিধানসভা দলের বৈঠক হওয়ার কথা। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে আপাতত মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর আসনের দিকেই তাকিয়ে সকলে।
অনেকে অবশ্য বলছেন, নিজের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে চলেছেন শিবরাজ। প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট করছেন। সেই ছবির মাধ্যমে হাইকমান্ডকে কি তিনি কোনও বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন? বিশ্লেষকদের মতে, পোস্টের মাধ্যমে শিবরাজ যেন এটাই দেখানোর চেষ্টা করছেন যে তিনি মধ্যপ্রদেশের জনপ্রিয় নেতা। আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এজেন্ডাতেও ঠিকঠাক ফিট করেন।
শিবরাজ সিং চৌহান আপাতত সেই স্থানগুলিতেই সফর করছেন, যেখানে বিজেপি কিছুটা দুর্বল। প্রথমে তিনি কমলনাথের 'ঘাঁটি' ছিন্দওয়াড়ায় যান। তারপর শেওপুর পরিদর্শন করেন। দিগ্বিজয়ের
'ঘাঁটি' রাঘোগড়েও বৈঠক করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এভাবে BJP-কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছেন শিবরাজ। কোথাও যেন নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার সময়ে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে পারে গেরুয়া শিবির।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১১৬টি আসনে জিততে হয়। কিন্তু বিজেপি ১৬৩টি আসনে জেতে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারা। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর নাম বেছে নিতে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বিধায়কদের বৈঠক চলছে।