রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS)-র অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে উঠে এল কলকাতার আরজি কর প্রসঙ্গ। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য কী কী করণীয় তা নিয়েও অংশগ্রহণকারীরা আলাপ আলোচনা করেন। আরএসএস-এর বৈঠকের আজ তৃতীয় দিন। কেরলের পালাক্কাড়ে চলা এই বৈঠক শেষ হবে আজই। শেষ ভাষণটি দেবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দেশ উত্তাল। রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সব সভা-সমাবেশে আরজি কর প্রসঙ্গ উঠে আসছে। বাদ গেল না রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবর সংঘের অখিল ভারতীয় বৈঠকও। সংগঠনের তরফে সুনীল আম্বেকর জানান, আরএসএসের বৈঠকে আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আম্বেকর বলেন, নারীদের নিরাপত্তার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন আছে। এটা একটি উদ্বেগজনক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেয়েরা যাতে বিপদে না পড়েন সেজন্য পাঁচনীতি গ্রহণ করা হয়েছে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা, সংস্কার, শিক্ষা এবং আত্মরক্ষার দক্ষতা-এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে বৈঠক হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও তোলা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলা উচিত, এই আলোচনা উঠে আসে।
RSS-এর সমন্বয় সভায় বিজেপি-সহ ৩২টি সহযোগী সংগঠন উপস্থিত ছিল। জেপি নাড্ডা এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ দলের সদস্যপদ অভিযান এবং অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের বিষয়ে এই সমন্বয় সভায় আলোচনা করেন। খবরে প্রকাশ, সংঘের আধিকারিকদের সঙ্গে জেপি নাড্ডার বৈঠক হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে নাড্ডা এক দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দল এখন স্বনির্ভর। সংঘের সমর্থনের প্রয়োজন নেই।