চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) হাত মিলিয়েছিলেন। তারপর বেশ কিছু আলোচনাও হয়। গত বছর G20 সামিটের ঘটনা। সে বার চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল মোদীর? আজ অর্থাত্ শুক্রবার তা খোলসা করল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক।
হ্যান্ডশেকের পর কী কথা হয়েছিল?
গত বছর G20 সামিটের ডিনারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে দেখা গিয়েছিল হাত মেলাতে। তারপর দেখা যায়, দুই রাষ্ট্রপ্রধান কিছু একটা আলোচনায় মগ্ন। প্রশ্ন উঠেছিল, চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কী আলোচনা হল। বিদেশমন্ত্রী সেই ঘটনার বিষয়ে জানাল, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনার বিষয়েই কথা হয় সে বার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট বলছে, দুদিন আগে চিনের বিদেশমন্ত্রক জোহানেসবার্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদদের বৈঠকে দাবি করা হয়, G20 সামিটে মোদী ও জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্থিতাবস্থা আনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
২০২০ সালের মার্চে লাদাখে LAC-তে ভারত ও চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক চরম তিক্ততায় পৌঁছয়। ওই ঘটনার পর বালিতে দুই দেশের নেতাদের প্রথমবার সাক্ষাত্ হয়।
দিল্লিতে G20 সামিটে থাকবেন জিনপিং?
এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দিল্লিতে G20 সামিটে যোগ দেবেন। আমন্ত্রিত সব রাষ্ট্রনেতাকে নিয়ে এই সামিট যাতে সফল হয়, ভারত তার সব রকম চেষ্টা করছে। অরিন্দম বাগচী বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
গত নভেম্বরে বালিতে দু’দিনের জি ২০ শীর্ষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের হাতে তুলে দেয় ২০২৩ সালের জি ২০ সামিটের সভাপতির দায়িত্ব। ১ ডিসেম্বর থেকে জি ২০ দেশসমূহের মিলিত গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ভারত। নয়া দায়িত্ব হাতে পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'এই দায়িত্ব প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে গর্বের, সম্মানের।' এক বছর এই দায়িত্ব পালন করবে ভারত।