উত্তরপ্রদেশ থেকে গাড়ি করে গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে পুরুলিয়ার কাশীপুরে তিন সাধুকে গণপিটুনির অভিযোগ। আর সেই কারণে আবারও রাজনীতিতে উত্তাপ। এই ঘটনার পরেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সুর চড়িয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। তারা ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে সনাতনীদের ওপরে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে।
কাশীপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, 'যেখানেই ইন্ডিয়া জোটের সরকার আছে এবং সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাদের আধিপত্য রয়েছে, সেখানে সনাতন ধর্ম এবং যারা সনাতন ধর্ম পালন করেন তাঁদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার কারণে গান্ধী পরিবারের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।' এর আগে এই ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। মকর সংক্রান্তির জন্য় গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন সাধুরা। পালঘরের মতো তাঁরাও গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা বিবস্ত্র করে মারধর করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শেখ শাহজাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীরা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পাচ্ছে, আর সাধুরা গণপিটুনির মুখে পড়ছেন।'
জানা যায়, স্থানীয় লোকজন অপহরণকারী ভেবে ৩ সাধুকে মারধর শুরু করে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মানুষের ভিড়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিকটস্থ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। উত্তরপ্রদেশ আসা ৩ জন সাধু, একজন ব্যক্তি এবং তাঁর দুই ছেলে মকর সংক্রান্তির উৎসবে গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। এই সময় তাঁরা পথ হারিয়ে ফেলেন, তিন নাবালিকাকে রাস্তার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা চিৎকার করে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন সন্ন্যাসীকে ধরে মারধর শুরু করে। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ পৌঁছয়। সাধুদের উদ্ধার করে কাশীপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।