চম্পাই সোরেনই কি তবে ঝাড়খণ্ডের পরের মুখ্যমন্ত্রী? হেমন্ত সোরেনকে ঘিরে তুমুল বিতর্কের মাঝেই তুঙ্গে জল্পনা। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র মন্ত্রী চম্পাই সোরেন।
রাজনৈতিক সূত্র মতে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তদন্তনাধীন অবস্থায় যদি হেমন্ত সোরেন পদত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে ২টি নাম বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রথম নামটি যাঁর আসছে, তিনি হলেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী- কল্পনা সোরেন। দ্বিতীয়টি ক্যাবিনেট মন্ত্রী চম্পাই সোরেন।
বিধায়কদের বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন দুটি সাদা কাগজে সই সংগ্রহ করেছেন। একটিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নামে। অন্যটিতে মন্ত্রী চম্পাই সোরেনের নামে।
চম্পাই সোরেন কে?
আদিবাসী কৃষক পরিবারের সন্তান। ৪ সন্তানের পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন চম্পাই সোরেন। ছোট থেকে কৃষিকাজ করে, মাঠেঘাটে বাবার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন। দশম শ্রেণী পর্যন্ত একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়। তাঁর ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
বিহার থেকে আলাদা হয়ে ঝাড়খণ্ডের দাবি ওঠে যে সময়ে, তখন আন্দোলনে অংশ নেন চম্পাই সোরেন। আর এই আন্দোলন থেকে ঝাড়খণ্ড তথা দেশে জননেতা হিসাবে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। নাছোড় জেদ, তেজের জন্য তাঁর নামই হয়ে ওঠে, 'ঝাড়খণ্ড টাইগার'।
সেরাকেলা আসন থেকে উপনির্বাচনের নির্দল বিধায়ক হিসাবে জিতে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দেন।
বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন
বিজেপি নেতা অর্জুন মুন্ডার সরকারে, JMM নেতা চম্পাই সোরেনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। এরপরে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সরকারে চম্পাই সোরেনকে খাদ্য, বেসামরিক সরবরাহ ও পরিবহন মন্ত্রী করা হয়।
হেমন্ত সোরেনের সরকারে দ্বিতীয়বার মন্ত্রী
২০১৯ সালে হেমন্ত সোরেন আবার যখন মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন চম্পাই সোরেনকে পরিবহন, তফসিলি উপজাতি, জনজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী করা হয়। পাশাপাশি JMM-এর সহ-সভাপতিও করা হয় তাঁকে।