ক্রমাগতভাবে বিভ্রান্তিকর দাবি এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন করার জন্য বাবা রামদেবের পতঞ্জলী সংস্থাকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ এনিয়ে মুখ খুললেন রামদেব। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভান্ডার আছে, কিন্তু ভিড়ের ভিত্তিতে সত্য-মিথ্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।' তিনি আরও বলেন, 'মেডিকেল মাফিয়ারা মিথ্যা প্রচার করে, পতঞ্জলি কখনও মিথ্যা প্রচার করে না। বরং পতঞ্জলি স্বদেশী আন্দোলনের প্রচার করেছিল। যে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে তা প্রকাশ করতে হবে। রোগের নামে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে।'
রামদেব বলেন, 'আমি কখনও আদালতে হাজির হইনি। তবে আমি সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে প্রস্তুত। আমি আমার সম্পূর্ণ গবেষণা উপস্থাপন করার অনুমতি পেতে চাই। আমাদের রোগীদের এবং গবেষণা উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া উচিত।' রামদেবের কথায়, 'মানুষকে বলা হচ্ছে একবার অসুস্থ হলে সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে, আমরা যা বলি ওষুধ ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন কর। আমরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে শত শত রোগীকে প্যারেড করাতে প্রস্তুত। সব গবেষণা দিতে প্রস্তুত।'
যোগ গুরু বলেছেন যে আমাদের শত শত বিজ্ঞানী আছে, আমরা শত শত গবেষণা প্রোটোকল অনুসরণ করেছি এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছি। এরপর আমরা দাবি করছি। তিনি বলেন, 'সারা দেশের সামনে সত্য-মিথ্যার রায় দিতে হবে। এলোপ্যাথির লোকের সংখ্যা বিপুল। তার লাখ লাখ কোটি টাকার সাম্রাজ্য রয়েছে। তাই এমন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা হবে না। তাদের হাসপাতাল বেশি, ডাক্তার বেশি, তাই তাদের আওয়াজ বেশি শোনা যায়, অথচ কম টাকায় আমাদের আওয়াজ শোনা যায় না। রামদেব বলেন, আমরা গরিব নই, আমাদের আছে ঋষিদের জ্ঞানের ঐতিহ্য। কিন্তু আমাদের সংখ্যা কম। আমরা, একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে, সমগ্র বিশ্বের ড্রাগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে একা লড়াই করতে প্রস্তুত। স্বামী রামদেব কখনও ভয় পাননি বা হারেননি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা এই লড়াই লড়ব। সুপ্রিম কোর্টকে সবসময় সম্মান করা হবে।'