হিন্দু ধর্মসহ অনেক ধর্মেই পুনর্জন্মের বিশ্বাস বিশ্বাস করা হয়েছে। এই অনুসারে, মানুষ তার পূর্বজন্মে কৃত কর্মের ফল বর্তমান জন্মে পায় এবং এই জন্মে করা কর্মের ফল সে আগামী জন্মে পায়। সেজন্য তাকে তার কৃতকর্মের প্রতি খুব সতর্ক থাকতে হবে, অন্যথায় মৃত্যুর পরেও তাকে তাদের অশুভ ফল ভোগ করতে হবে।
অন্যদিকে, ভাল কাজ করলে একজন ব্যক্তি পরবর্তী জন্মে তার শুভ ফল লাভ করে। আচার্য চাণক্য চাণক্য নীতিতে এমন কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এগুলো করে সে মৃত্যুর পর নরকে যায়। মৃত্যুর পর তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। শুধু তাই নয়, এই জন্মেই তাকে কিছু কাজের খারাপ ফল ভোগ করতে হয়। বলা যায়, এ ধরনের খারাপ কাজ করার জন্য মানুষকে জীবিত অবস্থায় নরকের মতো কষ্ট পেতে হয়।
এই কাজ নরকের মতো যন্ত্রণা দেয়
আচার্য চাণক্য বলেছেন, যারা খারাপ ও নিকৃষ্ট, অন্যকে অত্যাচার করে, তারা নরকে যায়। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, সে কখনও সুখী থাকে না, তাকে কোনও না কোনওভাবে কষ্ট পেতে হয়।
যে ব্যক্তি নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নির্যাতন করে, তাদের শোষণ করে সে পাপ করে। তার পাপকর্মের বিনিময়ে তাকে জীবিত ও মৃত্যুর পর অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়। সে নরকে স্থান পায়।
যে ব্যক্তি প্রিয়জনকে কষ্ট দেয়, হিংসা করে এবং কষ্ট দেয় সেও জাহান্নামে স্থান পায়। ঈর্ষার অনুভূতি তাদের ভেতরে পুড়তে থাকে। এমন মানুষ কখনো সুখী জীবন যাপন করে না।
যে ব্যক্তি শুধু খারাপ কাজ করে সে নয়, যে ব্যক্তি নিকৃষ্ট ব্যক্তিকে সঙ্গ দেয়, যে তাকে সাহায্য করে, সেও পাপের অংশীদার হয়। সেও মৃত্যুর পর জাহান্নামে যায়।