scorecardresearch
 

চাণক্য নীতি: সুমধুর দাম্পত্যের চার অন্যতম চাবিকাঠি

শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানদের মতে, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের দর্শন থেকে। সুখী দাম্পত্য জীবন লাভের শর্ত হিসাবে আচার্য চাণক্যের নির্দেশিত কতগুলি বিষয় মেনে চলা উচিৎ।

Advertisement
চাণক্য নীতি চাণক্য নীতি
হাইলাইটস
  • ভারতীয় শাস্ত্রের সর্বকালের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয় আচার্য চাণক্যকে।
  • শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানরা এ কথা বিশ্বাস করেন, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের দর্শন থেকে।
  • সুমধুর দাম্পত্যের চার অন্যতম চাবিকাঠির সন্ধান মিলতে পারে চাণক্যের জীবন দর্শন থেকে।

ভারতীয় শাস্ত্রের সর্বকালের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয় আচার্য চাণক্যকে। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চানক্যের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক।
শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানরা এ কথা বিশ্বাস করেন, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের এই দর্শন থেকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের মতে, যে সকল ব্যক্তি আচার্য চাণক্যের নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, যাঁরা চাণক্যের জীবন দর্শন আত্মস্থ করতে পেরেছেন, তাঁদের জীবন থেকে দুঃখ-দুর্দশা সহজেই দূর হয়।
সুমধুর দাম্পত্যের চার অন্যতম চাবিকাঠির সন্ধান মিলতে পারে চাণক্যের জীবন দর্শন থেকে। সুখী দাম্পত্য জীবন লাভের শর্ত হিসাবে আচার্য চাণক্যের নির্দেশিত কতগুলি বিষয় মেনে চলা উচিৎ। 
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালবাসা ও বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। এই সম্পর্ক অনেকটা রেশমের সুতোর মতো। এই সম্পর্কে যখন ভালবাসা ও বিশ্বাসের ভিত দুর্বল হতে শুরু করে, তখন সম্পর্কেও দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যখন ফাটল দেখা দেয়, তখন ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তি, উত্তেজনা এবং বিভেদ দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে মেধাবী এবং পণ্ডিত ব্যক্তিও বিচলিত হয়ে পড়েন। তাই সুমধুর দাম্পত্যের শর্ত হিসাবে আচার্য চাণক্যের নির্দেশিত কতগুলি বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে উভয় ক্ষেত্রেই শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকা বাঞ্ছনীয়। স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বোধ না থাকলে সম্পর্কের মর্যাদার প্রাচীরটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে। তাই চাণক্য মতে, সর্বদা একে অপরের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাপূর্বক জীবন-যাপন করা উচিৎ। জীবনে সঙ্গীর ভাল গুণগুলিকে নিয়েই আলোচনা করা প্রযোজন। এতে সম্পর্ক আরও মজবুৎ হয়।
বিবাহিত জীবনে সুখের অভাব বোধ করলেই মুশকিল! কোনও ব্যক্তি যখনই তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কে সুখের অভাব বোধ করতে শুরু করেন, তখন থেকেই ওই সম্পর্কের বাঁধন আলগা হতে শুরু করে। তাই চাণক্য মতে, সর্বদা জীবনের সুখের মুহূর্তগুলিকে উপভোগ ও স্মরণ করা উচিৎ। বৈবাহিক জীবনের সুন্দর মুহুর্তগুলিকে স্মরণ করার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে তোলা সম্ভব। এর পাশাপাশি বিবাহিত জীবনে আগত সমস্যাগুলির সম্মুখীন হওয়ার শক্তি মেলে। সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
 

Advertisement

 

Advertisement