Dried Tulsi Plant Vastu: বাড়ির তুলসী গাছ শুকিয়ে কাঠ? এই একটি ভুলে সংসার গায়েব হবে সুখ- শান্তি, আসবে অর্থাভাব

হিন্দু ধর্মে তুলসীকে (Tulsi) অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। প্রায় প্রতিটি মন্দির তো বটেই, এমনকী প্রতিটি বাড়িতেই তুলসী গাছ থাকে। যেখানে রোজ, জল, ফুল, ধূপ, প্রদীপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে তুলসীর ব্যবহার অত্যন্ত শুভ। কথিত আছে যে, তুলসীতে লক্ষ্মীর বাস। পূরাণ মতে, বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সঠিক নিয়ম না মানলে জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ে। 

শুকনো তুলসী গাছ অশুভ 

হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই বাড়িতে কখনও শুকনো তুলসী গাছ রাখা উচিত না। তুলসী সব সময় সবুজ রাখবেন। শুকিয়ে যাওয়া তুলসী বাড়িতে রাখলে, বড় ক্ষতি হতে পারে। বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে, মা লক্ষ্মী সেই বাড়িতে থাকেন। তুলসী গাছ শুকিয়ে গেলে তা নদীতে বা জলাশয়ে ফেলে দিয়ে নতুন গাছ লাগাতে হবে। রবিবার ভুল করেও তুলসী গাছে জল দেবেন না।

বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার নিয়ম 

বাড়ির যে জায়গায় তুলসী লাগানো হয়, সেই জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। জুতো বা চটি কখনই তুলসী গাছের কাছে রাখা উচিত নয়। এতে তুলসীর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীরও অপমান হয়। তুলসীর কাছে ঝাড়ু রাখলেও মানুষ দরিদ্র হয়ে যেতে পারে। 

তুলসী গাছ কাঁটাযুক্ত গাছের সঙ্গে কখনই রাখা উচিত নয়। এটি করলে অশুভ ফল পাওয়া যায়। নয়তো বাড়ির সদস্যদের মধ্যে মত বিরোধ, মারামারি ও উত্তেজনা বাড়তে পারে। পূর্ব, উত্তর -পূর্ব, উত্তর কিংবা বাড়ির একেবারে কেন্দ্রীয় অংশে তুলসী গাছ রাখলে, তা পরিবারের জন্য শুভ।  বাড়ির অন্ধকার দিকে কখনই তুলসী গাছ রাখবেন না। খোলামেলা -আলোকিত স্থানে রাখুন। সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালান তুলসী তলায়। 

সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, কার্তিক মাসের বৃহস্পতিবার তুলসী গাছ লাগানো সবচেয়ে শুভ। তবে মনে রাখবেন, তুলসী গাছ সব সময় বিজোড় সংখ্যায় রাখতে হয়। একাদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ, রবিবার, রাত্রিবেলা তুলসী গাছ থেকে পাতা ছেঁড়া অশুভ।কখনই তুলসী পাতা নখ দিয়ে ছিঁড়বেন না। তুলসী পাতা ছেঁড়া মন্ত্র - 'মহাপ্রসাদ জননী, সর্ব সৌভাগ্য বর্দ্ধিনী আদি ব্যাধি হরা, নিত্য তুলসী ত্ব নমহস্তুতে'।  

তুলসী শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক দিয়ে শুভ নয়। এই গাছের ওষধি গুণ অত্যন্ত বেশি। স্ট্রেস কমানো, সর্দি -কাশি কমানো, জীবণুমুক্ত করার মতো একাধিক গুণ রয়েছে তুলসীর। এছাড়াও তুলসী গাছ বায়ু শোধন করতে পারে। এই গাছ বাতাস থেকে সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের শোষণ করে প্রচুর অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয় পরিবেশে।