scorecardresearch
 

Durgapuja 2023: নরবলি বন্ধ হয়েছে, তবে... জলপাইগুড়ির এই রাজবাড়ির পুজো ৫৪০ বছরের প্রাচীন

Durgapuja 2023: বৈকুণ্ঠপুর রাজপরিবারের দুর্গা পুজার ইতিহাসে নরবলির কথা শোনা যায়। রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শিষ্য সিংহ পাঁচশো বছর আগে জঙ্গলে শিকারে গিয়ে দেবীর পুজো করার জন্য নরবলির প্রয়োজন মনে করেন। তাদেরই এক সঙ্গীকে বলি দিয়ে সেই রক্ত দিয়েই দুর্গার পুজো করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমার গায়ের রঙ তপ্ত কাঞ্চন বর্ণা।

Advertisement
নরবলির ঐতিহ্য এখনও চলছে, ৫৪০ বছরে পা জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো নরবলির ঐতিহ্য এখনও চলছে, ৫৪০ বছরে পা জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো
হাইলাইটস
  • নরবলির ঐতিহ্য এখনও চলছে
  • ৫৪০ বছরে পা জলপাইগুড়ির
  • বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো

Durgapuja 2023: জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজা এ বছর ৫১৪ বছরে পা দেবে। দীর্ঘ দিনের এই পুজো এবারও অতীত গরিমার সাক্ষী রেখে চলবে দারুণ গতিতে। এখানকার পুজোর পুরনো অতীতের কাহিনী যা শোনা যায়, তা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। এখানে নরবলি হত বলে জানা গিয়েছে। যা এখনও বজায় রয়েছে। কিন্তু নরবলি তো নিষিদ্ধ।তাহলে কী করে পুজো হয়। আসুন জেনে নিই।

এই বছর রাজবাড়ির দুর্গাপুজা ৫১৪ বছরে পদার্পণ করবে রাজপরিবারের কূল পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, জন্মাষ্ঠমীর পরদিন কাঠামো পুজো হয়। এছাড়া মহালয়ার দিন মায়ের চক্ষু দান করা হয়। পাশাপাশি, এইদিনই এখানে কালী পুজো করা হয়, সেখানে পাঁঠাবলি দেওয়া হয় এবং মা কে আমিশ ভোগ দেওয়া হয়।

এই পুজোর ইতিহাসে নরবলি হত। দীর্ঘদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন সেখানে এখন চাল,কলা দিয়ে মানব আকৃতি তৈরি করে বলি দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজোতে এখনও মহা আড়ম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তিভরে হয় দেবী দুর্গার আরাধনা।

আরও পড়ুন

প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই জন্মাষ্টমীর পরদিন রাজবাড়ির দুর্গা মণ্ডপে কাঠামো পুজো দিয়েই দুর্গাপুজার শুরু হয়। প্রতিবারই কাঠামোপুজা, নান্দোৎসব এবং কাদা খেলার মধ্যে দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজবাড়ির দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু করা হয়। এখানে প্রতিমার বাহন সিংহ নয়। বাঘ। চার সন্তান ছাড়াও, এখানে দুর্গার সঙ্গে পূজিতা হন গঙ্গা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, মহামায়া, ও দুই সখী জয়া, বিজয়া।

পুজোর ইতিহাস

বৈকুণ্ঠপুর রাজপরিবারের দুর্গা পুজার ইতিহাসে নরবলির কথা শোনা যায়। রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শিষ্য সিংহ পাঁচশো বছর আগে জঙ্গলে শিকারে গিয়ে দেবীর পুজো করার জন্য নরবলির প্রয়োজন মনে করেন। তাদেরই এক সঙ্গীকে বলি দিয়ে সেই রক্ত দিয়েই দুর্গার পুজো করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমার গায়ের রঙ তপ্ত কাঞ্চন বর্ণা। প্রতি বছর মায়ের শাড়ি আসে বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু এবার মায়ের শাড়ি এসেছে কলকাতা থেকে এবং চাদোয়া এসেছে বাংলাদেশ থেকে। এই শাড়ি পড়েই এবার মা পূজিত হবেন।

Advertisement

 

Advertisement