scorecardresearch
 

Shivling Puja: রাতে শিবলিঙ্গের সামনে এই কাজ করলেই অর্থলাভ, জানুন নিয়ম

হিন্দু ধর্মে ভগবান শিবের বিরাট মাহাত্ম্য রয়েছে। শিবের মহিমা অসীম। তাই মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য তাঁর আরাধনা করা হয়। দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন শিবমন্দির রয়েছে। কিছু মন্দিরের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আবার ঘরে ঘরে শিবলিঙ্গেরও পুজো করা হয়। 

Advertisement
বাড়িতে শিবলিঙ্গের আরাধনা করুন। জানুন নিয়ম। বাড়িতে শিবলিঙ্গের আরাধনা করুন। জানুন নিয়ম।
হাইলাইটস
  • হিন্দু ধর্মে ভগবান শিবের বিরাট মাহাত্ম্য রয়েছে।
  • মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য তাঁর আরাধনা করা হয়।
  • দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন শিবমন্দির রয়েছে।

হিন্দু ধর্মে ভগবান শিবের বিরাট মাহাত্ম্য রয়েছে। শিবের মহিমা অসীম। তাই মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য তাঁর আরাধনা করা হয়। দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন শিবমন্দির রয়েছে। কিছু মন্দিরের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আবার ঘরে ঘরে শিবলিঙ্গেরও পুজো করা হয়। 

হিন্দু ধর্মে ১৮টি মহাপুরাণের অন্যতম হল শিব পুরাণ। একে মহাপুরাণ বলা হয়। এর মধ্যে শিব পুরাণ খুবই জনপ্রিয়। শিব পুরাণে এক কাহিনি রয়েছে। সেই কাহিনি অনুযায়ী, রোজ রাতে শিবলিঙ্গের সামনে এই কাজ করলে অর্থলাভ হতে পারে। পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। 

শিবলিঙ্গের সামনে প্রদীপ জ্বালান

আরও পড়ুন

শিব পুরাণে বলা হয়েছে, রাতে শিবলিঙ্গের সামনে প্রদীপ জ্বালালে শুভ ফল পাওয়া যায়। রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে শিবলিঙ্গের সামনে প্রদীপ জ্বালালে লাভবান হবেন। 


রাতে শিবলিঙ্গের সামনে প্রদীপ জ্বালানো নিয়ে একটি কাহিনি রয়েছে। শিব পুরাণে রয়েছে,গুণনিধি নামে এক দরিদ্র ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর কাছে খাবার ছিল না। তাই খাবার খুঁজতে খুঁজতে তিনি একটি শিব মন্দিরের কাছে যান। রাতে ওই মন্দিরেই বিশ্রাম নেবেন বলে স্থির করেন। রাতের অন্ধকার গ্রাস করেছিল মন্দিরে। আঁধার দূর করার জন্য নিজের পরনের পোশাক খুলে আগুনে জ্বালান গুণনিধি। এই কাজ করায় শিবের দর্শন পান গুণনিধি। মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করেন। পরের জন্মে কুবের দেব হিসাবে জন্ম নেন তিনি। তাই প্রচলিত বিশ্বাস, শিবলিঙ্গের সামনে প্রদীপ জ্বালালে অর্থ, প্রতিপত্তি লাভ হয়। 


হিন্দু ধর্মে শিবলিঙ্গকে মহাদেবের প্রতীক হিসাবে পুজো করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিবলিঙ্গকে ঘিরে নানা তীর্থস্থান রয়েছে। বাংলায় যার মধ্যে অন্যতম তারকেশ্বর। কোনও শিবলিঙ্গ স্বয়ম্ভূ। অর্থাৎ, এই সব শিবলিঙ্গ নিজে থেকেই প্রকাশিতক হয়েছে। আবার কোনও কোনও শিবলিঙ্গ কেউ তৈরি করেছে। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরি করা হয়। ফুল, রুপো, স্ফটিক, তামা, ব্রোঞ্জের শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। প্রতিটি শিবলিঙ্গের পুজোর ফল আলাদা হয়।

Advertisement

অনেকে ফুলের শিবলিঙ্গ তৈরি করেন। মনে করা হয়, ফুলের শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করলে জমি কেনা এবং বাড়ি তৈরির স্বপ্ন পূরণ হয়। এই শিবলিঙ্গ পুজো করলে মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আবার, স্ফটিকের শিবলিঙ্গ পুজো করলে মনের সব ইচ্ছাপূরণ হয়। মনে করা হয়, রীতি মেনে স্ফটিকের শিবলিঙ্গ পুজো করলে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন মহাদেব। রুপোর শিবলিঙ্গ পুজো করলে পূর্বপুরুষদের মুক্তিলাভ হয়। ব্রোঞ্জের শিবলিঙ্গ পুজো করলে সমাজে খ্যাতি, প্রতিপত্তি বাড়ে।
 

Advertisement