হিন্দু ধর্মে কুবের হলেন ধনসম্পদের দেবতা ও যক্ষ নামক উপদেবতাদের রাজা। তিনি উত্তর দিকের রক্ষক (দিকপাল) ও পৃথিবীর অন্যতম রক্ষাকর্তা (লোকপাল) দেবতা হিসেবে পূজিত হোন। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে কুবেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেবতার অধিপতি ও বিশ্বের ধনাধ্যক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্বাস করা হয়, কুবের দেবের আরাধনা করলে জীবনে কখনও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হয় না। দীপাবলিতে বা অক্ষয় তৃতীয়াতেও এজন্যে লক্ষ্মীর পাশাপাশি কুবের দেবেরও পুজো করা হয়। পুরাণে, কুবের মহারাজকে স্বর্গের দেবতাদের কোষাধ্যক্ষ বলা হয়েছে। কুবেরদেবের পুজো করলে ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি পায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কুবেরদেবের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিশেষ জিনিস ঘরে রাখলে ধন- সম্পদে সর্বদা পরিপূর্ণ থাকে। জানুন কী কী শুভ জিনিস রাখতে পারেন আপনি।
কুবের যন্ত্র
বাড়ির মন্দিরে বা ঠাকুরঘরে কুবের যন্ত্র স্থাপন করে নিষ্ঠা করে পুজো করলে আর্থিক লাভ হয়। এটিকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখলে কর্মসংস্থানে উন্নতি হয়।
কুবের মূর্তি
বাস্তু অনুসারে, প্রতিটি বাড়িতে কুবেরদেবের মূর্তি রাখা শুভ। মূর্তিটি এমনভাবে স্থাপন করুন, যাতে ভগবান কুবেরের মুখ উত্তর দিকে থাকে।
কুবের মন্ত্র
নিয়মিত কুবেরের মন্ত্র জপ করলে সম্পদ ও সমৃদ্ধি আসে। 'ওম লক্ষ্মী কুবেরায় নমঃ' বা 'ওম শ্রীম ক্লীম বিত্তেশ্বরায় নমঃ' এই মন্ত্র দুটি জপ করুন।
দান
টাকা দান করলেও কুবের দেব খুশি হন। কুবের মহারাজকে উৎসর্গ করা ধন ত্রয়োদশীর দিনে আপনাকে অবশ্যই অর্থ দান করতে হবে।
প্রিয় জিনিস
ভগবান কুবের ধনে, পদ্মবীজ, সুগন্ধি, সুপারি, লবঙ্গ, লাল ফুল, এলাচ এবং দূর্বা খুব পছন্দ করেন। এসব নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হন।
যা জানা জরুরি
কুবেরের আশীর্বাদ পেতে হলে অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। যারা অন্যকে কষ্ট দিয়ে অর্থ উপার্জন করেন, তাদের প্রতি কুবেরদেব ক্ষুব্ধ হন। তাই এই ভুল কখনও করবেন না।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)