Laxmi Maha Upay: ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী যদি খুশি হন, তাহলে জীবনে সুখ ও সম্পদে ভরে যায়। কথিত আছে যে, দেবী লক্ষ্মীর শুভ চরণ বাড়িতে থাকলে, কখনও অর্থের অভাব হয় না। ভক্তি মনে মা লক্ষ্মীর পূজো করলে, শুধু সম্পদ নয়, নাম ও খ্যাতিও পাওয়া যায়। এই পুজো, দাম্পত্য জীবনেও মাধুর্য নিয়ে আসে। জানুন কীভাবে ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন আপনি।
শঙ্খ
শঙ্খ মূলত একটি সামুদ্রিক প্রাণীর গঠন। পৌরাণিকভাবে, শঙ্খের উৎপত্তি সমুদ্র থেকে বলে মনে করা হয়। কিছু জায়গায়, তিনি দেবী লক্ষ্মীর ভাই হিসাবেও পূজিত হন। কথিত আছে যে, যেখানে শঙ্খ আছে, লক্ষ্মী নিজেই সেখানে থাকেন।
শুভ অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় উৎসবে শঙ্খ বাজানো শুভ বলে মনে করা হয়। অনেক ধরনের শঙ্খ রয়েছে। তবে মধ্যবর্তী শঙ্খ এবং দক্ষিণাবর্তি শঙ্খ বিরল। এদের ব্যবহার খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। পুজোর স্থানে সাদা রঙের শঙ্খ রাখলে ও ব্যবহার করলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে।
গোলাপ
গোলাপ ফুল এবং এর গন্ধ দুটোই মা লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। নিয়মিত মা লক্ষ্মীকে সুগন্ধি বা গোলাপ নিবেদন করলে ব্যবসা ভাল হয়। দেবী লক্ষ্মীকে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে অভিষেক করলে ঘৃণা দূর হয়। প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মীকে গোলাপের মালা অর্পণ করলে দারিদ্র্য দূর হয়।
স্ফটিক মালা
স্ফটিক শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি মহিমার প্রতীক। মা লক্ষ্মীর মন্ত্রগুলি স্ফটিক দিয়ে জপ করা উচিত এবং এরপর এই মালা অর্পণ করুন। স্ফটিকের মালা পরলে লক্ষ্মীর কৃপা থাকে।
শ্রীহরি বিষ্ণুর আশীর্বাদ
শ্রী হরি ছাড়া মাতা লক্ষ্মী লাভ করা যায় না। বাড়ির পূজাস্থলে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর মূর্তি রাখুন। প্রতিদিন তাদের পুজো করুন। এর ফলে গোটা পরিবার টাকা পাবে এবং পারস্পরিক ভালোবাসা বজায় থাকবে।
ঘিয়ের প্রদীপ
দেবী লক্ষ্মীর পুজার সময় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো শুভ। এই প্রদীপ যদি চারমুখী হয়, তাহলে আরও মঙ্গলজনক। এটি একটি সাদা ধাতু বা মাটির প্রদীপে জ্বালান। সন্ধ্যায় পুজোর স্থানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে অর্থের অপচয় হয় না।
মা লক্ষ্মী হলেন চঞ্চলা। ফলে ধন- সম্পত্তি কখনও একই রকম থাকে না মানুষের। কিন্তু লক্ষ্মীর কৃপা পেলে জীবন সুখে কাটে। যদি আপনার বাড়িতে টাকা না জমে বা টাকা হাতে আসার পরই খরচ হয়ে যায়, তাহলে এই প্রতিকারগুলি করলে, আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে। শুক্রবার মা লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করুন। এতে চিনির বদলে মিছরি দিন। আপনার আর্থিক উদ্বেগ শীঘ্রই দূর হবে।