লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ২৯২টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এটি মাত্র ২৪০টি আসন পেয়েছে। সূত্রের খবর, ৮ জুন সন্ধেয় নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। তবে এর জন্য তাঁকে তার জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে। বিশেষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর ওপর।
অন্যদিকে, ভারতীয় জোটও সরকার গঠনের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার গঠনের জন্য নীতীশ কুমার এবং টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুরও প্রয়োজন। তাঁদের দুজনেরই ভারতের জোটে যোগদান নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ৮ জুন শপথ নিতে পারবেন কিনা তা বড় প্রশ্ন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই দিনটি সম্পর্কে মোদীর তারকারা কী বলছেন? এ বিষয়ে পণ্ডিত শৈলেন্দ্র পাণ্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন আজতক।
৮ তারিখ শুভ নয়
পন্ডিত শৈলেন্দ্র পান্ডের মতে, আমরা যদি সংখ্যাতত্ত্ব থেকে বুঝতে চাই, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর জন্ম তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর। এর সংখ্যা ৮। এই সংখ্যাটি ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যাতত্ত্ব জন্য ৮ নম্বরটিকে খুব ভাল বলে মনে করে না। আর প্রধানমন্ত্রীর শপথের তারিখের সংখ্যাও ৮ এবং তার জন্ম তারিখের সংখ্যাও ৮।
শপথ গ্রহণের সময়ই ঠিক করবে আগামী ৫ বছরের মেয়াদ কেমন হবে। শৈলেন্দ্র পান্ডে আরও বলেছেন যে মোদী যে সময়ে শপথ নেবেন সেই সময়ে তৈরি রাশিফলই প্রকাশ করবে আগামী ৫ বছর তাঁর মেয়াদ কেমন হবে।
এই সময়ে তারা কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হবে?
এটাও একটা কাকতালীয় যে এটা বারবার ঘটছে মোদীর সঙ্গে যে ৮ নম্বর তার জীবনে আসে। সেইসঙ্গে শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রেঅন্যান্য গ্রহগুলিকেও দেখতে হবে। ৮ জুন সঠিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে শপথ নিয়েছেন তা তার পাঁচ বছরের সরকারকে সুষ্ঠু ও ভালোভাবে চালাতে পারে।
৮ নম্বরের লোকেরা শৃঙ্খলাবদ্ধ
শৈলেন্দ্র পান্ডে বলেছেন যে ভারতে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এখানেও আটের অঙ্ক এসেছে। প্রজাতন্ত্র অর্থাৎ যখন ভারতে সংবিধান কার্যকর হয়, নিয়ম-কানুন ভারতে কাজ শুরু করে, তারাও আট নম্বর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।জ্যোতিষশাস্ত্রে, আট নম্বর সম্পর্কে বলা হয় যে এটি একটি সুশৃঙ্খল সংখ্যা। এই সংখ্যাযুক্ত ব্যক্তির জীবনে প্রচুর পরিশ্রম রয়েছে। অনেক সংগ্রাম করতে হয়, সহজে কিছু পাওয়া যায় না।