Devshayani Ekadashi Remedies: হিন্দু ধর্মগ্রন্থে একাদশীর বিশেষ গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা একাদশী উপবাস প্রতি মাসের উভয় পাক্ষিকের একাদশী তিথিতে পালন করা হয়। প্রতিটি একাদশী তিথির নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিটি দেবশয়নী একাদশী নামে পরিচিত। দেবশয়নী একাদশী হরিশায়নী একাদশী, যোগনিদ্রা একাদশী এবং পদ্মনাভ একাদশী নামেও পরিচিত।
এই দিনটি বিশেষ করে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজোর দিন। এই একাদশীর উপোসে এবং এই দিনে যথাযথভাবে পুজো করলে একজন ব্যক্তি সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন। ১৭ জুলাই দেবশয়নী একাদশীর উপবাস পালিত হবে। এই দিনে, শ্রী হরি চার মাস যোগ নিদ্রায় যাবেন এবং চার মাস পর, তিনি কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দেবুথানী একাদশীতে জেগে উঠবেন। দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুকে এই অলৌকিক ফুল নিবেদনের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
দেবশয়নী একাদশীতে এই ফুলগুলি অর্পণ করুন
পদ্ম ফুল
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুকে পদ্ম ফুল নিবেদন করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এই দিনে পদ্ম ফুল নিবেদন করলে ভগবান বিষ্ণুর সাথে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে শ্রী হরিকে পদ্মফুল অর্পণ করলে মানুষের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এছাড়াও, জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসে।
গাঁদা
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান নারায়ণকে হলুদ গাঁদা ফুল অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে গাঁদা ফুল বা এর মালা অর্পণ করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। এতে ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
জেনে নিন দেবশয়নী একাদশীর গুরুত্ব
দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণু চার মাস বিশ্রামের জন্য ক্ষীর সাগরে যান। আর চার মাস পর তারা জেগে ওঠে দেবউথ্থানী একাদশীতে। এই চার মাসচাতুর্মাস নামে পরিচিত। এই চার মাসের মধ্যে রয়েছে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ, আশ্বিন ও কার্তিক মাস। চাতুর্মা শুরু হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ প্রভৃতি শুভকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই সময়ে তীর্থযাত্রা, স্নান, দান ও ঈশ্বরের ধ্যান ইত্যাদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।